মিরাজের জার্সি পেয়ে উচ্ছ্বসিত নিকোলস

নেপিয়ারে নিজেদের ইতিহাস বদলে দিয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তরা। ঘরের মাঠে টানা ১৭ ওয়ানডেতে জয় পাওয়া কিউইদের ৯ উইকেটে হারিয়ে ছুঁতে দেয়নি অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ব রেকর্ড। বাংলাদেশ আরও একটা কাজ করেছে, সেটা হলো পরিসংখ্যানটা ১৬-০ থেকে ১৯-০ হতে দেয়নি। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তাদের বিপক্ষে প্রথমবার জয় তুলে নিয়ে হোয়াইটওয়াশও এড়িয়েছে বাংলাদেশ।

ম্যাচ জয়ের পর সবাই উচ্ছ্বসিত হওয়াটা স্বাভাবিকই। কিউইদের হারিয়ে তখন ড্রেসিং রুমের দিকে ফিরছিল সফরকারী ক্রিকেটাররা। একটু সামনের দিকেই ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। বাংলাদেশ যখন ড্রেসিং রুমের ফিরে আসছিল তখন ঠিক ডান পাশে দাঁড়িয়েছিলেন হেনরি নিকোলস। সেখানে দাঁড়িয়েই মিরাজকে ডেকে নিলেন নিউজিল্যান্ডের এই ক্রিকেটার। মিরাজও সায় দিয়েছেন, একটু দ্রুততার সঙ্গে এসে নিকোলসের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন তিনি।

কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে নিজেদের কিছু একটা নিয়ে আলাপ করছিলেন তারা দুজন। তবে তারা দুজন কি নিয়ে কথা বলছিলেন সেটা দূর থেকে বোঝা একটু কঠিন। সেটার জন্য তাই অপেক্ষা করতে হয়েছে। যদিও অপেক্ষার প্রহর ফুরিয়েছে একটুতেই। নিকোলসকে হাত দিয়ে ইশারা দিয়ে ড্রেসিং রুমে ফেরেন মিরাজ। বাকি ক্রিকেটাররা ড্রেসিং রুমে থাকলেও কয়েক মিনিটের ব্যবধানে বাইরে চলে আসেন বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার।

তখন তার হাতে একেবারে নতুন প্যাকেটে মোড়ানো জার্সি। এখনও যেন খোলাই হয়নি সেটি। ব্র্যান্ড নিউ জার্সির প্যাকেট এনে নিকোলসের হাতে তুলে দেন মিরাজ। কিউই এই ক্রিকেটারও মনের আনন্দে নিয়ে নিলেন মিরাজের দেয়া সেই বাংলাদেশের জার্সি। অবশেষে জানা যায়, মিরাজের জন্য নিকোলসের অপেক্ষার কারণ। তাদের দুজনের কথোপকথন থেকে নিশ্চিত হওয়া গেল মিরাজের বেশ বড় ভক্ত তিনি।

যদিও মিরাজের আগে থেকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেন। তবুও মিরাজকে পছন্দ তার। জার্সি নেয়ার সময় দুজনের কথোপকথনও শোনা গেল স্পষ্ট। নিকোলস মিরাজকে বললেন, ‘আমি টি টোয়েন্টি সিরিজের স্কোয়াডে নেই। তাই সেখানে দেখা হচ্ছে না।’ তবে যাবার বেলায় মিরাজকে শুভকামনা জানালেন ভালো খেলার জন্য৷ আর আশা ব্যক্ত করে গেছেন খুব শীঘ্রই আবারও দেখা হওয়ার।

মিরাজও শুভকামনা জানাতে ভোলেননি নিকোলসকে। যাবার বেলায় থাম্বস আপ দিয়ে বুঝিয়ে গেলেন যে মিরাজের জার্সি পেয়ে তিনি উচ্ছ্বসিত।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.