নির্বাচনে যদি একটি ভোটকেন্দ্রেও ভোট কারচুপি হয় তাহলে সেটি বন্ধ করে দেবেন বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, ‘কোনো সেন্টারে যদি একটি ভোটও কারচুপি হয়, খবর আসে তাহলে ওই সেন্টার আমি বন্ধ করে দেব। সিস্টেমের উপর আস্থা রাখতে হবে। ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দিতে হবে। আপনারা কেউ যদি কোনো রকম ব্যত্যয় সৃষ্টি করেন, আপনাকে হয়তো দেখতে পারব না, কিন্তু সেন্টারে যদি একটি ভোটও কারচুপি হয়, খবর আসে তাহলে ওই সেন্টারটি আমি বন্ধ করে দেব।’
শনিবার সকালে রির্টানিং কর্মকতার সম্মেলন কক্ষে বরিশাল জেলার ৬টি সংসদীয় আসনের ৩৫ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
সিইসি বলেন, ‘নির্বাচনে অনিয়ম করতেই হবে, তা না হলে শক্তি প্রদর্শন হবে না, এটা আমরা বিশ্বাস করি না, আপনারাও নিশ্চই এটা করেন না। শুধু প্রচারণা দিয়ে নির্বাচন হবে না। মূল নির্বাচন হবে পোলিংয়ের মাধ্যমে। ৭ তারিখের যে নির্বাচন সেটি নির্বাচনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা কেন্দ্রে কেন্দ্রে ডিক্লারেশনের মাধ্যমে আপনারা ঘরে বসেই জেনে যাবেন।’
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন নিয়ে অতীতে অনেক বিতর্ক হয়েছে। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি তারাও বিভিন্ন কথাবার্তা বলে থাকেন। আজ এখানে এসেছি আপনাদের কাছে প্রতিশ্রুতি নিতে যাতে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে হয় এবং ভোটাররা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মো. শওকত আলী। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ জাহাংগীর আলম, বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি জামিল হাসান, পুলিশ কমিশনার জিহাদুল কবির, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলামসহ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বরিশাল জেলার ছয় নির্বাচনি এলাকার অধিকাংশ প্রার্থীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.