২ দিনে প্রায় ৪০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইল

ইসরাইলি সেনারা অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গত দু’দিনে প্রায় ৪০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। এর ফলে গত ৭ অক্টোবর এই ভূখণ্ডের ওপর ইসরাইলি সেনাদের বর্বরতা শুরু হওয়ার পর থেকে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শুক্রবার রাতে তাদের সর্বশেষ পরিসংখ্যান প্রকাশ করে বলেছে, বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর নির্বিচার বোমাবর্ষণে নারী ও শিশুসহ ৩৯০ ফিলিস্তিনি নিহত ও ৭৩৪ জন আহত হয়েছে। এর ফলে গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা ২০,০৫৭ জনে পৌঁছেছে যাদের মধ্যে অন্তত ৮,০০০ শিশু ও ৬,২০০ নারী রয়েছেন। জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ গাজা উপত্যকাকে ‘শিশুদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক স্থান’ বলে অভিহিত করেছে।

ইউনিসেফের পশ্চিম এশিয়া, পূর্ব ও দক্ষিণ আফ্রিকা বিষয়ক আঞ্চলিক পরিচালক অ্যাডেলে খোদর বলেছেন, শিশুদের বসবাস, খেলাধুলা ও স্কুল গমনের নিরাপদ স্থান হিসেবে বিবেচিত গাজার বহু আবাসিক এলাকা এখন সম্পূর্ণ ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে এবং এসব স্থানে এখন আর প্রাণের কোনো অস্তিত্ব নেই।

গত ৭৮ দিন ধরে ইসরাইল গড়ে প্রতিদিন গাজা উপত্যকার প্রায় ৩০০ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। শুধুমাত্র নভেম্বর মাসের শেষ সাত দিন উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি চলার সময়ে এই গণহত্যা বন্ধ ছিল।

অবশ্য গাজার চিকিৎসকরা বলছেন, হতাহতের যে সংখ্যা ঘোষণা করা হয়েছে তা হাসপাতালগুলোতে আনা মরদেহ ও আহত ব্যক্তিদের গণনা করে প্রকাশ করা হয়েছে। উপত্যকার ধ্বংসস্তুপগুলোতে আটকে পড়া মরদেহগুলো এই হিসাবের মধ্যে নেই। কাজেই হাজার হাজার নিখোঁজ মানুষের এসব মরদেহ উদ্ধার করা হলে নিহতের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বেড়ে যাবে। পার্সটুডে

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.