গর্ব করার মতো পারফরম্যান্স করেছি: শান্ত

নেপিয়ারে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে এক বিস্ময় উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডকে ৯৮ রানে অল আউট করে ১৫.১ ওভারেই ৯ উইকেটের বিশাল জয় নিশ্চিত করেছে টাইগাররা। এই জয়ের ফলে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর সঙ্গে ১৮ ম্যাচের খরা ভেঙ্গে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে স্বাগতিকদের হারানোর কীর্তি গড়েছে নাজমুল হোসেন শান্তরা।

তানজিম সাকিব, শরিফুল ইসলাম, সৌম্য সরকার টসে জিতে অধিনায়কের বোলিং নেয়ার সিদ্ধান্তকে শুধু সঠিকই প্রমাণ করেননি বিদেশের মাটিতেও তারা কি করতে পারেননি এর একটি শোডাউন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘যাকে যখন বোলিংয়ে এনেছি সবাই সবার দায়িত্বটা পালন করেছে। শরিফুল যখন দ্বিতীয় স্পেলে এসে দুটো ব্রেক থ্রু দিয়েছে এটা অবশ্যই মোমেন্টামটা আমাদের দিকে নিয়ে এসেছে। আমি নির্দিষ্ট কাউকে কৃতিত্ব দিতে চাই না। সবাই নিজেদের দায়িত্ব পালন করেছে। আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী সবাই বোলিং করেছে। উইকেটে কোনো পাশ থেকে বাড়তি কোনো সুবিধা ছিল না। ট্যাকটিকাল চেঞ্জ করা হয়েছে কারণ সকালে পেসারদের জন্য সুবিধা ছিল। চেষ্টা করেছি কত লম্বা সময় ধরে পেস বোলিংটা চালু রাখতে পারি। আলাদা কোনো কিছু ছিল না উইকেটে।’

নিউজিল্যান্ডকে ৯৮ বা ১০০ রানের মধ্যে আটকে দেয়ার কোনো পরিকল্পনাও ছিল না শান্তর। এ প্রসঙ্গে শান্ত বলেন, ‘এরকম চিন্তা অবশ্যই করিনি। আমরা চেষ্টা করেছি এই সিরিজে নিজেদের প্রসেসটা ঠিক রাখতে। লম্বা সময় ধরে আজকে ভালো বোলিং করেছি। উইকেট অটোমেটিক পড়ছিল। এরকম আশা নিয়ে আসিনি যে ৯৮-১০০ রানে অল আউট করে দেব। লক্ষ্য ছিল কত লম্বা সময় ধরে আমরা ভালো বোলিং করতে পারি। আমি গর্বিত দুই ম্যাচ হারার পর তারা যেভাবে কামব্যাক করেছে।’

এই সিরিজের আগে নিউজিল্যান্ডকে তাদের মাটিতে হারানো দিবাস্বপ্নের মতো ছিল বাংলাদেশের জন্য। তবে শান্ত বিশ্বাস রেখেই বলেছিলেন, ‘সিরিজ জিততে চাই। যদি ইতিহাস চিন্তা করেন অবশ্যই আমরা গর্ব করার মতো পারফরম্যান্স করেছি, একটা ম্যাচ জিততে পেরেছি। আমাকে যদি ব্যক্তিগতভাবে জিজ্ঞেস করেন তাহলে আমি বলবো আমি সিরিজ জিততে এসেছিলাম। বিশ্বাস করেই বলেছিলাম এটা। প্রথম ম্যাচটা একটু আনলাকি ছিলাম বৃষ্টির কারণে। আমাদের বোলিং অপশনগুলো শেষ হয়ে গিয়েছিল। অবশ্যই খুশি জিততে পেরেছি। তবে সিরিজ জিততে পারলে আরও ভালো লাগত।’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.