রেলে নাশকতার ঘটনার পূর্ণ তদন্ত চেয়েছে জাতিসংঘ

রাজধানীর তেজগাঁও রেলস্টেশনে ‘মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস’ ট্রেনের বগিতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় চারজন নিহত হওয়াতে সমবেদনা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। পাশাপাশি নাশকতার এ ঘটনার পূর্ণ তদন্ত এবং জড়িতদের আইনের আওতায় আনার জন্য বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব সংস্থাটি।

নিউইয়র্কে জাতিসংঘের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বাংলাদেশি এক সাংবাদিকে প্রশ্নের জবাবে এ আহ্বান জানান।

ব্রিফিংয়ে ওই সাংবাদিক প্রশ্ন করতে গিয়ে বলেন, ‘গণমাধ্যম ও অধিকার সংস্থাগুলোর প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল বিরোধী রাজনীতিকদের জেলখানায় রেখে আগামী ৭ জানুয়ারি দেশে একটি একপাক্ষিক নির্বাচনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। ভয়েস অব আমেরিকার একটি প্রতিবেদন অনুসারে, গত দুই মাসে নিরাপত্তা হেফাজতে ছয়জন মারা গেছেন। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আপনি কি এখনও অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের আহ্বান জানাবেন? অথবা জাতিসংঘ মহাসচিব কি ব্যক্তিগতভাবে কোনো উদ্যোগ নেবেন, সেখানে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে?’

জবাবে স্টিফেন ডুজারিক বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি আগেও আপনার প্রশ্নের জবাব দিয়েছি। তবে আংশিকভাবে আমি বলছি, আমরা আহ্বান জানাচ্ছি একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের; যেখানে জনগণ মুক্তভাবে ভয়হীন পরিবেশে তাদের ভোট দিতে পারবে। অবশ্যই নির্বাচনের পরে আমাদের কিছু বলার থাকবে, তবে আমাদের অবস্থান অপরিবর্তনীয়।’

বাংলাদেশি আরেক সাংবাদিক প্রশ্ন করতে গিয়ে বলেন, ‘আমি বাংলাদেশে অগ্নিসন্ত্রাসের অংশ হিসেবে যাত্রীবোঝাই বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলছি, গত ১৯ ডিসেম্বর ঢাকাগামী একটি এক্সপ্রেস ট্রেনের তিনটি বগিতে অগ্নিসন্ত্রাসীরা আগুন ধরিয়ে দেওয়ায় চারজন মানুষ মারা যায়; যাদের মধ্যে একজন নারী ও তিন বছরের শিশুও ছিল। আপনি কি সাধারণ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক সহিংসতায় এ ধরনের অগ্নিসন্ত্রাসের কারণে জীবনহানির বিষয়ে উদ্বিগ্ন?’

জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন, ‘আমরা ভয়ঙ্কর এই আগুনের ঘটনায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি। আমি মনে করি, বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই ঘটনার সূত্র উদঘাটনে পূর্ণ তদন্ত করবে এবং দায়ীদের বিচারের আওতায় আনবে।’

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.