বিশ্বকাপে ব্যর্থতার দায়ে জিম্বাবুয়ে কোচের পদত্যাগ

২০২২ সালের জুনে জিম্বাবুয়ের প্রধান কোচের দায়িত্ব নিয়েছিলেন হটন। তার অধীনে বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়ে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে জিতেছে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজ। বিশ্বকাপে গিয়ে আরও বেশি চমকে দেয় তারা।

প্রথম রাউন্ডে আয়ারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডকে হারানো জিম্বাবুয়ে সুপার টুয়েলভে জয় পেয়েছে পাকিস্তানের মতো দলের বিপক্ষে। সেমিফাইনালের সম্ভাবনা জাগলেও শেষ পর্যন্ত সেরা চারে জায়গা করে নিতে পারেনি তারা। তাতে করে হটনের অধীনে অন্যরকম স্বপ্ন যাত্রা চলে জিম্বাবুয়ের। তবে বছরখানের ব্যবধানে ঠিক উল্টো চিত্র দেখতে হয়েছে হটনকে।

ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর ২০২৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং যুক্তরাষ্ট্রে হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতাও অর্জন করতে পারেননি তারা। এবার ব্যর্থতার দায়ে জিম্বাবুয়ের চাকরি ছাড়লেন ডেভ হটন। প্রধান কোচের দায়িত্ব ছাড়লেও জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটের সঙ্গেই যুক্ত থাকবেন তিনি। দায়িত্ব ছাড়ার প্রধান কারণ হিসেবে ড্রেসিং রুমে আগের মতো সাড়া না পাওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। চাকরি ছেড়ে হটন বলেন, ‘জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট সবসময় আমার হৃদয়ে ছিল এবং আছে। যদিও জাতীয় দলের হয়ে আমার কোচিংয়ের সময়টা এখানেই শেষ। আমি অন্য জায়গাগুলোতে জড়িত থাকতে পছন্দ করবো।’

জিম্বাবুয়ের সাম্প্রতিক সময়ের পারফরম্যান্সই অবশ্য সবচেয়ে বেশি উদ্বেগ তৈরি করেছে। গত জুলাইয়ে বাছাই পর্বে স্কটল্যান্ডের কাছে হেরে যাওয়ায় খেলতে পারেনি ভারতে অনুষ্ঠিত হওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপে। যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেরও। বাছাই পর্বে নামিবিয়া এবং উগান্ডার মতো সহযোগী দেশের বিপক্ষে হেরেছে জিম্বাবুয়ে। পূর্ণ সদস্যের একমাত্র দেশ হিসেবে ২০ দলের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের টিকিট কাটতে পারেনি তারা।

হটনের চাকরি ছাড়া নিয়ে বলতে গিয়ে সাম্প্রতিক সময়ের পারফরম্যান্সের কথা উল্লেখ করে জেডসি চেয়ারম্যান তাবেঙ্গা মুকুলানি বলেন, ‘গত কয়েক মাস দলের পারফরম্যান্স বেশ হতাশাজনক ছিল। ৫০ ওভার বিশ্বকাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কোনোটিতেই আমরা খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারিনি। ডেভ যে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন, তাকে আমরা অন্তরের অন্ত:স্থল থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তাকে আমরা ভিন্ন ভূমিকায় দেখতে মুখিয়ে আছি। যেখানে আমরা মাঠের পারফরম্যান্সে ভাগ্য ফেরানোর চেষ্টা করছি।’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.