ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) নতুন ঠিকানা খুঁজে পেয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। মঙ্গলবার আইপিএল নিলাম থেকে ভিত্তিমূল্য ২ কোটি রুপিতে এই পেসারকে দলে টেনেছে চেন্নাই সুপার কিংস। এর আগে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, দিল্লি ক্যাপিটালসের জার্সিতে খেললেও এবারই পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাইয়ের জার্সিতে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন বাঁহাতি এই পেসার।
নিলামে সর্বোচ্চ ভিত্তিমূল্যের তালিকায় ছিলেন মুস্তাফিজ। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এই ক্রিকেটারের পারফরম্যান্স শঙ্কা জাগিয়েছিল আগামী মৌসুমে তার দল পাওয়া নিয়ে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভিত্তিমূল্যেই মহেন্দ্র সিং ধোনির দল এই পেসারকে দলে ভেড়ায়।
এদিকে দল পেলেও গেল কয়েক মৌসুমের মতো আগামী মৌসুমেও মুস্তাফিজকে পুরো আইপিএলের জন্য ছাড়পত্র দেবে না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। দল পাওয়া সাপেক্ষে মুস্তাফিজকে ২২ মার্চ থেকে ১১ মে পর্যন্ত আইপিএলে খেলার অনুমতি দেয়ার কথা বিবেচনা করছে বিসিবি।
বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানিয়েছেন, ‘মুস্তাফিজকে তো আমরা পুরো মৌসুমের জন্য ছাড়পত্র দেব না। ওকে একটা নির্দিষ্ট সময় পর ফিরে আসতে হবে। ২২ মার্চ থেকে ১১ মে পর্যন্ত সে আইপিএল খেলতে পারবে, কারণ দেশের খেলাও আছে। যেহেতু আইপিএলের পরপরই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে তাই অনেক কিছু চিন্তা ভাবনা করেই আমরা সিদ্ধান্ত নেব। তবে চেন্নাইয়ের হয়ে আইপিএলে তার সুযোগ পাওয়াটা আমাদের জন্য আনন্দের।’
নিলামের চূড়ান্ত তালিকায় মুস্তাফিজের সঙ্গে জায়গা পেয়েছিলেন দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম। তবে আইপিএলের সময়টায় দেশের মাটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন সংস্করণের সিরিজ ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ থাকায় নিলাম থেকে তাসকিন ও শরিফুলের নাম সরিয়ে নেন।
এই প্রসঙ্গে জালাল ইউনুস বলেন, ‘তাসকিন ও শরিফুল আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। ৩ ফরম্যাটের নিয়মিত ক্রিকেটার তারা। এ ছাড়া ওয়ার্কলোড ম্যানেজেরও একটা বিষয় থাকে। আমরা তাই ওদের আইপিএল থেকে নাম সরিয়ে নিতে বলেছি। পাশাপাশি ইনজুরির ঝুঁকির কথাও মাথায় কাজ করেছে আমাদের।’
আইপিএলের গত দুই আসরে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে খেলেছেন মুস্তাফিজ। ২০২২ আসরে আট ম্যাচে তিনি উইকেট নেন ৮টি। ২০২৩ আসরে সুযোগ পান মাত্র দুটি ম্যাচে, উইকেট পান একটি। ২০২৪ আসর সামনে রেখে তাকে ছেড়ে দেয় দিল্লি। ২০১৬ সালে আইপিএলে প্রথমবারের মতো সুযোগ পান মুস্তাফিজ। সেবার হায়দরাবাদের শিরোপা জয়ে তার ছিল বড় অবদান। সব মিলিয়ে আইপিএলে ছয় আসরে ৪৮ ম্যাচ খেলে ওভারপ্রতি ৭.৯৩ রান দিয়ে মুস্তাফিজের উইকেট ৪৭টি। ১৬ রানে ৩ উইকেট তার সেরা বোলিং।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.