আমরা ক্রিকেটাররা হাসার চাইতে বেশি কাঁদি: সৌম্য

একের পর এক ম্যাচ ব‍্যর্থ হচ্ছিলেন সৌম‍্য সরকার। জাতীয় দল থেকে বাদও পড়ে যান অবলীলায়। একেবারে কোনও কিছু না করলেও তাকে আবারও দলে ফিরিয়েছে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট। প্রথম ম্যাচে শূন্য রানে ফিরলেও দ্বিতীয় ম্যাচে সৌম্য দিয়েছেন আস্থার প্রতিদান। ক‍্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলার পর কিছুটা আবেগীও হয়ে পড়েন এই টপ অর্ডার ব্যাটার।

প্রথম ম‍্যাচের সৌম্যের পারফরম্যান্স ছিল বিভীষিকাময়। সেই ম্যাচে আগে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেছিলেন, ইনজুরির কারণে দলে না থাকা সাকিব আল হাসানের অভাব তারা পূরণ করতে চান সৌম‍্যকে দিয়ে। ব্যাট হাতে শূন্য রান করা ছাড়াও খরুচে বোলিংয়ে ৬ ওভারে সৌম্য দেন ৬৩ রান। ক্যাচও ছেড়েছিলেন তিনি। এর আগেও সবশেষ ৬ ওয়ানডেতে কেবল একবার যেতে পেরেছিলেন দুই অঙ্কে। তিন ম‍্যাচে ফিরেছিলেন শূন্য রানে!

কিউইদের বিপক্ষে দারুণ সেঞ্চুরির পর ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘সবকিছুর আগে আমি ধন্যবাদ দিবো আমার পরিবারকে। আমার বউকে। সবকিছুতে সমর্থন করার জন্য। আমার সতীর্থরা তো আছেই। যতটুকু অনুশীলন করার সুযোগ পাচ্ছি, ব্যাটিং করছি সেও (হাথুরুসিংহে) অনেক সমর্থন করেছে। যে ইতিবাচক কথা বলে আমি তার সঙ্গেই থাকি। ভালো-খারাপ ক্রিকেটে থাকবেই। কিন্তু খারাপ খেললে তো ক্রিকেট ছেড়ে চলে যেতে পারব না। যেহেতু ক্রিকেট প্লেয়ার। ক্রিকেটের জন্যই এতদূর আসা। পরিশ্রম করছি ক্রিকেটের জন্যই। সুতরাং ক্রিকেট নিয়েই বেশি চিন্তা।’

ম্যাচে ওপেনিংয়ে নেমে ১৫১ বলে ১৬৯ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেছেন সৌম্য। তার দুই ছক্কা এবং ২২ চারের ইনিংসে বাংলাদেশ করে ২৯১ রান। পরে অবশ্য কিউই টপ অর্ডারের দাপটে ম্যাচে হারে বাংলাদেশ।

সৌম্য আরও বলেন, ‘ক্রিকেট প্লেয়ার প্রতিদিন ভালো খেলবে না। আপনি যেমন একটা মানুষ প্রতিদিন ভালো খাবার আশা করবেন না, আমরাও প্রতিদিন ভালো খেলব আশা করি না। আমরা ক্রিকেটাররা হাসার চাইতে বেশি কাঁদি। কেননা কেউ পুরো একটা সিরিজ খেললে ১-২ তা ম্যাচ ভালো খেলে। তার খারাপই যায়। ওটা নিয়ে আমরা পড়ে থাকলে আমরা নিজেরাই পিছিয়ে যাব। সুতরাং যতটুকই ইতিবাচক সেটা নিয়ে চিন্তা করা হয় বেশি। কীভাবে সামনে আরও ভালো করা যায় সেখানেই ফোকাস থাকে। এর মধ্যে যতটুকু পারফেকশান আমরা করতে পারি, সেটা নিয়েই ম্যাচে যাওয়ার চিন্তা করি।’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.