১৬৪ করে সমালোচনার জবাব ওয়ার্নারের, জনসন বলছেন ভাগ্যের জোরে

পার্থ টেস্টে ডেভিড ওয়ার্নারের নাম দেখেই চটেছিলেন সাবেক অজি পেসার মিচেল জনসন। এমনকি অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট ইতিহাসের সবথেকে কলঙ্কিত অধ্যায়ের খলনায়ক হিসেবেও আখ্যায়িত করেন ওয়ার্নারকে। সেই জবাবটা ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি করে দিয়েছিলেন ওয়ার্নার, থেমেছিলেন ১৬৪ করে।

রঙিন পোশাকে অস্ট্রেলিয়ার ভরসার নামটা ওয়ার্নার। কিন্তু সাদা পোশাকে লম্বা সময় নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। পড়তি ফর্মের কারণে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিডনি টেস্ট দিয়ে সাদা পোশাকের ইতি টানার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। নিজের চাওয়া অনুযায়ী এই সিরিজে রাখাও হয় তাকে। সুযোগ পান প্রথমে টেস্টের একাদশে।

এখানেই বিপত্তি জনসনের। ‘স্যান্ডপেপার গেট’ কেলেঙ্কারির অন্যতম চরিত্রের এমন ঘটা করে বিদায় সহজ ভাবে নিতে পারেননি তিনি। বরং দ্বিতীয় ইনিংসে শূন্য রানের আউট হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে জনসন নিজের কলামে লিখেন, ‘পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনে শুরুর দিকে ভাগ্যের সঙ্গ পেয়েছে ওয়ার্নার। তখন ম্যাচটা তার পক্ষে-বিপক্ষে দুদিকেই যাওয়ার মতো ছিল। সেটাই (ভাগ্য) কাজে লাগিয়ে ১৬৪ রান তুলেছে সে। প্রথম ইনিংসে সে যেটা করেছে, সেটার জন্যই কিন্তু টাকা পায়। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে শূন্য রানেই আউট হয়ে গেছে।’

পাকিস্তানের বিপক্ষে ২৬তম টেস্ট সেঞ্চুরির মাধ্যমে সমালোচনার জবাব দিলেও, তার এই সেঞ্চুরিতে আহামরি কিছু দেখছেন না জনসন। নিজের কলামে জনসন লিখেছেন ‘সপ্তাহ খানেক আগে আমি যে মতামত দিয়েছিলাম, সেটা এখনোও সঠিক বলেই মনে করি। গত গ্রীষ্মের এক দ্বিশতক ছাড়া প্রায় তিন বছর ধরে সে রান করেনি। আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে এবারের গ্রীষ্মের লড়াই কিছুটা সহজ। পাকিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার সহজে জেতার কথা। তাই কিছু নতুন খেলোয়াড়দের সুযোগ দেয়া যেত। কারণ, পরের দুই গ্রীষ্মে ভারত ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কঠিন চ্যালেঞ্জে পড়তে হবে।’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.