বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীর রমনা ও পল্টন থানায় করা ৯ মামলায় নিম্ন আদালতে জামিন আবেদন আইন অনুসারে গ্রহণ করে তা নিষ্পত্তি করতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতকে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মির্জা ফখরুলের করা রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। এ ছাড়া, মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদন গ্রহণ ও শুনানি করতে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের অস্বীকৃতি জানানোর সিদ্ধান্তকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে একটি রুলও জারি করেছেন হাইকোর্ট।
একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার এ আদেশ ও রুল জারি করেন।
রাজনৈতিক সহিংসতার অভিযোগে করা পৃথক ৯টি মামলায় মির্জা ফখরুলের ৯টি জামিন আবেদন শুনানি করতে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের অস্বীকৃতির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এ রিট আবেদন করা হয়েছিল। রিট আবেদনকারীর পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন এবং রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় শুনানি করেন।
মির্জা ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম গত ১৪ ডিসেম্বর আইনজীবীদের মাধ্যমে হাইকোর্টে রিট আবেদন জমা দেন। সে সময় তিনি বলেছিলেন, ঢাকার একটি মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বিভিন্ন তারিখে শুনানির জন্য মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদন গ্রহণ করতে অস্বীকার করে মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করেছে।
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় পল্টন ও রমনা থানায় এ নয়টি মামলা করা হয়। মামলায় পুলিশ কনস্টেবলকে হত্যা, রাস্তায় বেআইনি জমায়েত, যানবাহন ভাঙচুর, সংঘর্ষ, পুলিশের অস্ত্র ছিনতাই, সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি, পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা এবং দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
২৮ অক্টোবর পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় রমনা থানায় দায়ের করা মামলায় গত ২৯ অক্টোবর ফখরুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেদিনই আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.