দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়া পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ১৩ ফেব্রুয়ারি

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ অন্যান্য আসামিদের বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালত এ তারিখ ঠিক করেন। এ দিন মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণের কথা ছিল। মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। খালেদা জিয়ার পক্ষে অ্যাডভোকেট আব্দুল হান্নান ভূঁইয়া হাজিরা দেন।

এ সময় আসামি শহিদুল ইসলামের পক্ষে তার আইনজীবী আমিনুল ইসলাম প্রথম সাক্ষী মামলার বাদী দুদকের সহকারি পরিচালক মুহা. মাহবুবুল আলমকে পুনরায় জেরা করেন। পরে আসামি সেলিম ভূঁইয়ার পক্ষে সময়ের আবেদন করা হয়। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে ১৩ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন।

এর আগে, গত ১৯ অক্টোবর কানাডা অ্যান্ড রয়েল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের সদস্য কেবিন দুগ্গান ও লয়েড শোয়েপ আদালতে সাক্ষ্য দেন। পরে ২ নভেম্বর নাইকো দুর্নীতি মামলায় কানাডিয়ান দুই পুলিশ সদস্যের রি-কল সাক্ষ্যের আবেদন করেন দুদক। রি-কল আবেদনের বিষয়েও শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করে আজ ১৭ ডিসেম্বর রি-কলের সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেছিলেন।

এ মামলার অপর আসামিরা হলেন- তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম। তাদের মধ্য প্রথম তিন জন পলাতক।

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, একেএম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান তিন জন মারা গেছেন। তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালে তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করে দুদক। পরের বছরের ৫ মে ওই মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান। এতে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.