নিজের ভেতর অপরাধ বোধ কাজ করছে: বিজয়

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ভালো শুরুর পরও অসময়ে ফিরেছেন এনামুল হক বিজয়। ডানেডিনে অভিজ্ঞ এই ব্যাটারের উইকেটে খেসারত দিতে হয়েছে বাংলাদেশকে। বৃষ্টি আইনে সফরকারীরা হেরেছে ৪৪ রানে। ম্যাচ শেষে তাই আফসোসে পুড়ছেন বিজয়। নিজের মধ্যে অপরাধ বোধ কাজ করছে তার।

২৪৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় বেশ মনোযোগের সাথেই ইনিংস সাজাচ্ছিলেন বিজয়। হাফ সেঞ্চুরির কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটার। যদিও ৩৯ বলে পাঁচটি ৪৩ রান করা বিজয়কে কট এন্ড বোল্ডের মাধ্যমে ফিরিয়ে দেন জশ ক্লার্কসন। শর্ট অব লেংথ ডেলিভারি পুল শটের চেষ্টা করতে গিয়ে উইকেটের পাশ বরাবর আকাশে ক্যাচ তোলেন বিজয়। ক্যাচ লুফে নেন ক্লার্কসন নিজেই। ওয়ানডে অভিষেকে এটিই এই পেসারের প্রথম উইকেট। ৮০ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপরে আফিফ হোসেন, তাওহীদ হৃদয়, মেহেদী হাসান মিরাজরা তিনটি ক্যামিও ইনিংস খেললেও আর ম্যাচ জিততে পারেনি তারা।

বিজয় বলেন, ‘আরেকটু পরিকল্পনা করে আমরা সাজাতে পারতাম। আমরা যদি আরেকটু ধৈর্য ধরতাম, আরেকটু লম্বা খেলতাম তাহলে আমার কাছে মনে হয় দৃশ্যপটটা ভিন্ন হতে পারত। যদি শেষ ৫ ওভারে ৫০ রানও লাগতো আমরা ম্যাচটাকে বের করে আনতে পারতাম। আমাদের অনেক ভালো সুযোগ ছিল, আমরা ব্যাটিংয়ের দিক দিয়ে একটা ছন্দও পেয়েছিলাম, ব্যাটিং ভালো হয়েছে, সবার মাঝে মানসিকতা ছিল যে আমরা ম্যাচ জিততে পারব। অবশ্য দোষটা আমি নিতে চাই যে ভুল আমি করেছি। আমি যদি একটু বড় রান করে আসতাম, ম্যাচটা শেষ করে আসতাম তাহলে দলের জন্য খুব ভালো হত। একটা জয় দিয়ে শুরু করতে পারতাম। নিজের ভেতর অপরাধ বোধ কাজ করছে।’

এ দিন ব্যর্থ হন টপ অর্ডারের অন্য ব্যাটাররাও। সৌম্য সরকার প্রথম ওভারেই শূন্য রান করে ফিরে যান। ১৩ বলে ১৫ রান করা নাজমুল হোসেন শান্তকে বোল্ড করে ফেরান ইস সোধি। লিটন দাস ৯ বলে ২২ রান করে ফেরেন। বিজয় আরও বলেন, ‘আসলে টপ অর্ডার ব্যাটাররা যারা সেট হয় বা হচ্ছে যে কোন ফরম্যাটেই হোক তারা লম্বা রান করেন, বড় রান করে। তাতে দলের জন্য বড় একটা সুবিধা হয়। একজন টপ অর্ডার ব্যাটার যখন ৩৫-৪০ ওভার ব্যাট করবে তখন এমনে এমনি রান উঠতে থাকে। দলের উপকার হয়, এতে রান বড় হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অনেক সুবিধা হয়। আমাদের টপ অর্ডারের দায়িত্ব নিতে হবে, আজকে আমি সেট হয়েছি, কিন্তু বড় করতে পারিনি। আফসোস হচ্ছে। কিন্তু পরে যখনই আবার সুযোগ পাব চেষ্টা থাকবে সেটা যেন বড় করতে পারি। এটা একেক দিন একেক ব্যাটারের ক্ষেত্রে হবে। কোনোদিন সৌম্য সেট হবে, কোনদিন লিটন বা শান্ত। তারা যখনই সুযোগ পাবে সেটা যেন বড় করতে পারে তাহলেই দৃশ্যপটটা বদলে যাবে।’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.