অবসরে পাঠানো হচ্ছে ধোনির ‘৭’ নম্বর জার্সি

কিংবদন্তি শচিন টেন্ডুলকারের প্রতি সম্মান দেখিয়ে ভারতের ‘১০’ নম্বর জার্সিকে অবসরে পাঠিয়েছিল বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)। এবার ভারতের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিকেও একইরকমের সম্মান দেখাতে চলেছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড।

এখন থেকে ৭ নম্বর জার্সি পরে খেলতে পারবেন না ভারতের আর কোনো ক্রিকেটার। এই ব্যাপারে তরুণ ক্রিকেটার ও বর্তমানে খেলে যাওয়া ক্রিকেটারদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম। যদিও এই বুয়াপারে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি বিসিসিআই।

এ প্রসঙ্গে বিসিসিআইয়ের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেছনে, ‘তরুণ ক্রিকেটার এবং দলে থাকা ক্রিকেটারদের বলে দেয়া হয়েছে যে, ধোনির ৭ নম্বর জার্সি পরতে পারবেন না তারা। নতুন ক্রিকেটারেরা এখন থেকে ১০ এবং ৭ নম্বর বাদ দিয়ে অন্য নম্বরের জার্সি পরবেন।’

ধোনি ভারতের হয়ে শেষ ম্যাচ খেলেছিলেন ২০১৯ সালে। এর এক বছর পর ২০২০ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন তিনি। যদিও এরপর আর কোনো ভারতীয় ক্রিকেটারকে সাত নম্বর জার্সি পরে খেলতে দেখা যায়নি। এবার এই নম্বরের জার্সি পরাই এক প্রকার নিষিদ্ধ হয়ে গেল।

শচিনের ১০ নম্বর জার্সি তুলে রাখা হলেও ভারতীয় অলরাউন্ডার শার্দুল ঠাকুর তার ক্যারিয়ারের শুরুতে ১০ নম্বর জার্সি পড়ে খেলতেন। তবে সমালোচনার কারনে সেই নম্বর বদলে ফেলেন শার্দুল। বর্তমানে তাকে ৫৪ নম্বরের জার্সি পরে খেলতে দেখা যায়। বর্তমান ক্রিকেটারদের জন্য ৬০টি জার্সি নম্বর বরাদ্দ রয়েছে। এর থেকে যেকোনোটি বেঁছে নিতে কোনো বাধা নেই ক্রিকেটারদের। তবে এক্ষেত্রে অন্য ক্রিকেটারদের সেই জার্সি নম্বর আছে কিনা সেই বিষয়ে খেয়াল রাখতে হয় ভারতীয় ক্রিকেটারদের।

এ প্রসঙ্গে সেই বিসিসিআই কর্মকর্তা আরও বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে ৬০টি নম্বর রয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটারদের জন্য। যাঁরা ভারতীয় দলে রয়েছেন, তারা ছাড়াও যে ক্রিকেটাররা ভারতীয় দলে ঢোকার লড়াইয়ে রয়েছেন, তারা ওই ৬০টি নম্বরের থেকে নিজেদের জার্সি নম্বর বেছে নিতে পারবেন। যদি কোনো ক্রিকেটার দল থেকে বাদ পড়ে যায়, তাহলেও আমরা তার জার্সি নম্বরটি কাউকে দিয়ে দেই না। অভিষেকের সময় এক জন ক্রিকেটারের কাছে প্রায় ৩০টি নম্বর থেকে বেছে নেয়ার জন্য।’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.