প্রায় একযুগ পর সুযোগ ছিলো ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ জয়ের। কিন্তু আহমেদাবাদের ১ লাখ ৩২ হাজার দর্শককে সেদিন নিশ্চুপ করে নিজেদের ষষ্ঠ বিশ্বকাপ ঘরে তুলে অস্ট্রেলিয়া। এমন পরাজয় ১৪০ কোটি ভারতীয়র মত রোহিতকেও নিস্তব্ধ করে দেয়। এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিওতে রোহিতের পাঁচ বছরের মেয়েকে বলতে দেখা যায়, ‘বাবার মুখে হাসি নেই। তবে মাস খানিকের মধ্যেই তিনি আবার হাসা শুরু করবেন।’
অবশেষে ফাইনাল হারের পরবর্তি ২৪ দিন কেমন পরিস্থিতি ছিলেন তিনি, সেটাই জানিয়েছেন ‘এক্স’ (টুইটারে) একটি ভিডিও বার্তায়। রোহিত বলেন, ‘কীভাবে এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে হয়, সেই ব্যাপারে আমার কোনো ধারণা ছিল না। প্রথম কয়েক দিন কি করব, বুঝে উঠতে পারছিলাম না। পরিবার ও বন্ধুবান্ধব সে সময় আমার চারপাশের সবকিছু হালকা রাখার চেষ্টা করেছিল, যা বেশ সহায়ক ছিল। সেই হার হজম করা সহজ ছিল না। কিন্তু জীবন তো থেমে থাকে না। এভাবেই এগিয়ে যায়। তাই সবকিছু ফেলে রেখে এগিয়ে যেতে হয়। তবে সত্যি বলতে, এটা কঠিন ছিল।’
অবশ্য ভারতের বিশ্বকাপের শুরুটা ছিলো দুর্দান্ত। গ্রুপ পর্ব ও সেমিফাইনালসহ টানা ১০ ম্যাচে জয়ের দেখা পায় রোহিতরা। ফলে সব ম্যাচে জয় পাওয়ায় নিজেদের ভুল নিয়ে কাজ করার খুব বেশি সুযোগ বা প্রয়োজন হয়নি ভারতের। তাই বিশ্বকাপের নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়েও জয়ের ধাঁরা অব্যাহত রাখতে পারেনি তারা। ফাইনাল হারের বিষয়ে রোহিত বলেন, ‘আমাদের দিক থেকে যা কিছু সম্ভব, সবই করেছি। কিন্তু কেউ যদি আমাকে প্রশ্ন করে, কোথায় ভুল হয়েছিল; তাহলে বলব, আমরা প্রথম ১০ ম্যাচ জয় পেয়েছিলাম। সেই ১০ ম্যাচে যে আমরা কোনো ভুল করিনি, এমনটা নয়। প্রতিটি ম্যাচেই কিছু না কিছু ভুল হয়। নিখুঁত ম্যাচ বলে কিছুই হয় না। বড়জোর নিখুঁতের কাছাকাছি কিছু একটা হতে পারে।’
এ সময় নিজের দলকে প্রশংসায় ভাসিয়ে রোহিত বলেন, ‘আমরা যেভাবে খেলেছি, সেটা এককথায় অসাধারণ ছিলো। আপনি প্রতিটি বিশ্বকাপেই এমন পারফর্ম করতে পারবেন না। আমি নিশ্চিত, ফাইনালের আগপর্যন্ত আমাদের খেলা দর্শকদের আনন্দ দিয়েছে, আমাদের ভালো খেলতে দেখে মানুষ গর্ববোধ করেছে।’
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.