ফিলিস্তিনি যোদ্ধা ও সাধারণ নাগরিকদের বীরোচিত প্রতিরোধের প্রশংসা করে দেশটির প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের প্রবাসী পলিটব্যুরো প্রধান ইসমাইল হানিয়া বলেছেন, যুদ্ধ শেষে হামাসবিহীন গাজা উপত্যকার কথা যারা বলে তারা চরম বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে। দৃশ্যত গাজায় ইসরাইলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের দুঃসাহসিক যুদ্ধের উজ্জ্বল সমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে। তিনি গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বর্বরতা ও গণহত্যার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদ বিক্ষোভ জোরদার করার জন্য আরব ও মুসলিম দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান। গাজায় ইসরাইলি গণহত্যা বন্ধ করার জন্য আরব ও মুসলিম সরকারগুলোকে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানোরও আহ্বান জানান তিনি।
বুধবার রাতে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে তিনি বলেন, নিশ্চিতভাবে ইসরাইলি আগ্রাসনের সমাপ্তি ঘটবে এবং প্রতিরোধ যোদ্ধারা ফিলিস্তিনি জাতির প্রতি কৃতজ্ঞ থেকে গাজা উপত্যকাকে যেকোনো আগ্রাসন থেকে রক্ষা করে যাবে। ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা তাদের প্রতিরোধ যুদ্ধে অটল ও অবিচল রয়েছেন এবং তারা ইসরাইলি সেনাদের অপূরণীয় ক্ষতি করছেন। তিনি এক্ষেত্রে গাজা সিটির শুজাইয়া এলাকা এবং জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরসহ অন্যান্য স্থানে দখলদার সেনাদের বিরুদ্ধে তুমুল লড়াইয়ের কথা উল্লেখ করেন।
ইসমাইল হানিয়া তার ভাষণে বলেন, ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধ করে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনে সহায়তা করে এমন যেকোনো পদক্ষেপকে হামাস স্বাগত জানাবে। একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীরের মধ্যে যে রাজনৈতিক বিভেদ রয়েছে তারও অবসান ঘটবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
হামাসের পলিটব্যুরো প্রধান গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রচেষ্টা চালানোর জন্য জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসকে ধন্যবাদ জানান। একইসঙ্গে গাজা উপত্যকার ওপর ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধ করার লক্ষ্যে মঙ্গলবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে যে প্রস্তাব পাস হয়েছে তাকেও স্বাগত জানান হামাসের এই প্রবাসী নেতা। পার্সটুডে
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.