ধোনির অধিনায়ক হওয়া নিয়ে ১৬ বছর পর মুখ খুললেন যুবরাজ

২০০৭ সালে প্রথমবারের মতো নেতৃত্ব নিয়েই ভারতকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। বিশ্বকাপের আগেই টি-টোয়েন্টি থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন শচিন টেন্ডুলকার-রাহুল দ্রাবিড়দের মতো ক্রিকেটার। ফলে ধোনির কাঁধে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল এক ঝাঁক তরুণের।

সেই দল নিয়েই বাজিমাত করেছিলেন ধোনি। যদিও সেই সময় উত্তাল ছিল ভারতের ক্রিকেট। গ্রেগ চ্যাপেলের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছিলেন দলের সিনিয়র ক্রিকেটাররা। এমন সময় ভারতের সহ-অধিনায়ক ছিলেন যুবরাজ সিং। সবার ধারণা ছিল তার কাঁধেই তুলে দেয়া হবে ভারতের অধিনায়কের গুরু দায়িত্ব। যদিও সবাইকে অবাক করে দিয়ে ধোনিকে নেতৃত্ব দেয়া হয়। ১৬ বছর পর এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন যুবরাজ। যুবরাজ ছাড়া যে কাউকেই ভারতের অধিনায়ক করতে রাজি ছিলেন বিসিসিআই কর্মকর্তারা। এ কারণেই তারা আকস্মিকভাবেই ধোনিকে নেতৃত্ব দিয়ে দেয়া হয়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে রাখা হয়নি সেবার কোনো সিনিয়র ক্রিকেটারকেও।

সম্প্রতি সঞ্জয় মঞ্জরেকরকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে যুবরাজ বলেন, ‘আমার অধিনায়ক হওয়ার কথা ছিল। যখন গ্রেগ চ্যাপেলকে নিয়ে ঘটনা শুরু হয়েছিল তখন চ্যাপেল বা শচিনের পক্ষে যেতে হতো। আমি একমাত্র প্লেয়ার যে এই সতীর্থের পাশে ছিলাম সেই সময়। বিসিসিআইয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা এটা পছন্দ করেনি। তারা বলে দিয়েছিল আমাকে ছাড়া যে কাউকে তারা অধিনায়ক বানাবে। আমি এটাই শুনেছিলাম। আমি জানি না এটা কতটা সত্য।’

অধিনায়কত্ব না পাওয়ায় অবশ্য কোনো আক্ষেপ নেই যুবরাজের। তিনি এখনও একই পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে সতীর্থদের পাশে থাকতেন বলে জানিয়েছেন এই অলরাউন্ডার। যুবরাজ আরও বলেন, আমাকে হঠাৎ করে সহ-অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। শেবাগ দলে ছিল না। হুট করে ধোনিকে ২০০৭ বিশ্বকাপে অধিনায়ক করা হয়। এটা আমার বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত ছিল। তবে আমার কোনো আফসোস নেই। আজ যদি একই ঘটনা হয়। আমি আমার সতীর্থদের সমর্থন দেব।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.