মিরপুরের উইকেট নিয়ে সমালোচনাটা নতুন নয়। কিউইদের বিপক্ষে হারা টেস্টের উইকেট নিয়েও সমালোচনা হয়েছে। তবুও স্পিন-স্বর্গের পক্ষেই ভোট দিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। জিতলেও বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত টেস্ট অধিনায়কের ঠিক বিপরীতে অবস্থান নিয়েছিলেন টিম সাউদি। শুধু তাই নয় নিজের ক্যারিয়ারে দেখা সবচেয়ে বাজে উইকেট হিসেবেও আখ্যা দিয়েছেন তিনি।
এমন সমালোচনার পর মিরপুরের উইকেটের ডিমেরিট পয়েন্ট পাওয়াটা অবধারিতই ছিল। শেষ পর্যন্ত হয়েছেও তাই। ম্যাচ রেফারি ডেভিড বুনের দেয়া প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে মিরপুরের উইকেটকে ‘অন্তোষজনক’ রায় দিয়েছে আইসিসি। যেখানে প্রতিবেদনে মিরপুরের পিচ ‘অপ্রস্তুত’ ছিল বলেও জানিয়েছেন বুন। তার প্রতিবেদন আমলে নিয়ে এক ডিমেরিট পয়েন্ট দেয়া হয়েছে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় টেস্টের উইকেটকে।
এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। মিরপুরের উইকেট নিয়ে আইসিসির কাছে দেয়া প্রতিবেদনে বুন লিখেছেন, ‘মাঠের আউটফিল্ড খুবই ভালো ছিল এবং বৃষ্টিতেও দারুণভাবে অটুট ছিল। তবে উইকেট দেখে মনে হয়েছে, এটা হয়তো ‘আন্ডার-প্রিপেয়ার্ড’ ছিল। যথেষ্ট শক্ত ছিল না এটা এবং প্রথম দিনেও ঘাসের আচ্ছাদন ছিল না। প্রথম সেশন থেকে ম্যাচের পরের সময়টায় বাউন্স ছিল অধারাবাহিক। অনেক ডেলিভারিতেই বল পিচ থেকে লাফিয়ে উঠেছে। ব্যাটাররা ফরোয়ার্ড খেলার সময় স্পিনারদের ডেলিভারিও ব্যাটারদের কাঁধের ওপর দিয়ে লাফিয়ে গেছে এবং কখনও কখনও খুব নিচু হয়ে গেছে।’
আইসিসির দেয়া এই শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। আগামী ১৪ দিনের মাঝে আপিল করতে হবে বিসিবিকে। এর আগে ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্টের পর এক ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছিল মিরপুরের উইকেট।
নিয়ম অনুযায়ী ৫বছরের মাঝে কোনো ভেন্যু ৬ ডিমেরিট পয়েন্ট পেলে সেটি এক বছর আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনে নিষেধাজ্ঞা পাবে। যেখানে মিরপুরের ডিমেরিট পয়েন্ট মাত্র ২। ফলে সহসাই নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.