ইউক্রেনকে সাহায্য করা নিয়ে বাইডেনের সঙ্গে রিপাবলিকানদের সংঘাত চলছে। হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে রিপাবলিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। সেখানে তারা ইউক্রেন ও ইসরায়েলকে দেয়ার জন্য বাইডেনের ১০ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের প্যাকেজ এখনো অনুমোদন করেনি।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, কংগ্রেসে এই প্যাকেজ অনুমোদিত না হলে, আমেরিকা আর ইউক্রেনকে কোনো সাহায্য করতে পারবে না। এর ফলে রাশিয়ার সুবিধা হবে।
এই পরিস্থিতিতে জেলেনস্কি আমেরিকায় আসছেন এবং বাইডেনের সঙ্গে তিনি ইউক্রেনকে সামরিক ও অর্থসাহায্যের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন।
জেলেনস্কি প্রথমে আর্জেন্টিনা গেছেন, সেখানে নতুন প্রেসিডেন্টের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। তারপর তিনি অ্যামেরিকা যাবেন। সূত্র উদ্ধৃত করে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, মঙ্গলবার জেলেনস্কি সেনেটরদের কাছে ভাষণ দেবেন।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, জেলেনস্কি ও বাইডেনের মধ্যে বৈঠক হবে। তারা এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য করা নিয়ে আলোচনা করবেন। এই বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের অফিস জানিয়েছে, এই সফরে জেলেনস্কি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেবেন ইউক্রেন ও আমেরিকার মধ্যে সামরিক সহযোগিতা নিয়ে। বিশেষ করে অস্ত্র তৈরির যৌথ প্রকল্প ও এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম নিয়ে আলোচনা হবে। আগামী দিনে দুই দেশ কী ভাবে একে অপরকে সহয়োগিতা করবে, সেই বিষয় নিয়েও কথা হবে।
রিপাবলিকান সেনেটাররা বাইডেনের ১০ হাজার ছয়শ কোটি ডলারের প্যাকেজ অনুমোদন করেননি। তারা এর সঙ্গে অভিবাসী-নীতির বদল ও অভিবাসীদের সাহায্য করার বিষয়টিও জুড়তে চাইছেন।
বাইডেন সেনেটরদের এই তহবিল অনুমোদন করার আবেদন জানিয়েছেন। তিনি এটাও বলেছেন, আর মাত্র কয়েক সপ্তাহ ইউক্রেনকে সাহায্য করা যাবে। তার মধ্যে নতুন প্যাকেজ অনুমোদিত না হলে ইউক্রেনকে আর সাহায্য করা সম্ভব হবে না।
রোববার জেলেনস্কি আর্জেন্টিনায় হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরব্যানের সঙ্গে দেখা করেন। রয়টার্স জানাচ্ছে, হাভাসি মেল মারফৎ তাদের জানিয়েছেন, অরব্যান জেলেনস্কিকে বলেছেন, ইইউ-তে ইউক্রেনকে সামিল করা নিয়ে সমানে আলোচনা হচ্ছে। ইঅক্রেনকে ইইউ-তে সামিল করতে গেলে সবকটি দেশকে একমত হতে হবে। হাভাসি হলেন অরব্য়ানের প্রেস সংক্রান্ত প্রধান।
আগামী সপ্তাহে ইইউ-র বৈঠক আছে। সূত্র: ডিডাব্লিউ, এএফপি, রয়টার্স
অর্থসূচক/এএইচআর
 
			
 
						

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.