পৃথিবীর বুকে নরকে পরিণত হয়েছে গাজা: জাতিসংঘ

যতদিন যাচ্ছে গাজা স্ট্রিপে পরিস্থিতি ততই ভয়াবহ হচ্ছে। জাতিসংঘের গাজা স্ট্রিপ সংক্রান্ত সংগঠনের প্রধান সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পৃথিবীর বুকে একখণ্ড নরকে পরিণত হয়েছে গাজা।

জাতিসংঘের প্রধান আন্তনিও গুতেরেস বলেছেন, ‘গাজার পরিস্থিতি প্রমাণ করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ প্যারালাইসড হয়ে পড়েছে।’ এদিকে ইসরায়েল জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজার ২৫০টি জায়গায় তারা হামলা চালিয়েছে।

ইসরয়ালে এবং মিশর দুই দিক থেকেই গাজা স্ট্রিপ অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। অতি সামান্য মানবিক সাহায্য পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডাব্লিউএইচও-র এক্সিকিউটিভ বোর্ড জানিয়েছে, তাদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, গাজায় আরো মানবিক সাহায্য পাঠাতে হবে। এখন যে সাহায্য পৌঁছাচ্ছে, তা নিতান্তই কম বলে তাদের দাবি।

আফগানিস্তান, কাতার, ইয়েমেন এবং মরোক্কো এই সিদ্ধান্তের বয়ান তৈরি করেছে বলে জানা গেছে। সিদ্ধান্তে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর নজর দেওয়া হয়েছে। এক, গাজা স্ট্রিপে মেডিক্যাল কর্মীদের উপর আক্রমণ চালানো যাবে না এবং দুই নতুন করে হাসপাতাল গড়ার জন্য দ্রুত টাকা পাঠাতে হবে। ডাব্লিউএইচও প্রধান জানিয়েছেন, গত দুই মাসের মধ্যে এই প্রথম সর্বসম্মতিক্রমে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলো।

কানাডা অবশ্য ডাব্লিউএইচও-র সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে। তাদের বক্তব্য, এটি একটি আপসমূলক সিদ্ধান্ত। হামাসের বিষয়ে কোনো মন্তব্যই করা হয়নি সিদ্ধান্তে। আরো সরাসরি এর বিরোধিতা করেছে অস্ট্রেলিয়া। তাদের বক্তব্য, ৭ অক্টোবরের কোনো কথাই উল্লেখ করা হয়নি সিদ্ধান্তে। অথচ ৭ অক্টোবর হামাসের কাজের পরিপ্রেক্ষিতেই এই গোটা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত ডাব্লিউএইচও-র তরফে কোনো উত্তর দেওয়া হয়নি।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু হামাস নেতাদের উদ্দেশ্যে জানিয়েছেন, তাদের এবার আত্মসমর্পন করা উচিত। গত এক সপ্তাহে বেশ কিছু হামাস সদস্য ইসরায়েলের বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পন করেছে। এই লড়াই আসলে হামাসকে শেষ করার লড়াই। আত্মসমর্পন করলে তারা প্রাণে অন্তত বেঁচে যাবে।

এক বিবৃতিতে হামাসের সামরিক শাখা ইজাদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবাইদা বলেন, ইসরাইলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করা ছাড়া হামাসের সামনে কোনো বিকল্প নেই। গাজার প্রতিটি এলাকায়, প্রতিটি রাস্তা ও গলিতে হামাসকে লড়াই করবে। সূত্র: ডিডাব্লিউ, পার্সটুডে, রয়টার্স, এপি, এএফপি

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.