গাজায় ৬৪ দিনে নিহত সাড়ে ১৭ হাজার ফিলিস্তিনি

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গতকাল ইসরাইলি নির্বিচার বোমাবর্ষণে অন্তত ২০০ মানুষ নিহত ও কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা শনিবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে অবরুদ্ধ এই উপত্যকার ওপর ইসরাইলি আগ্রাসনের ৬৪তম দিনের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, শুধুমাত্র বিগত কয়েক ঘণ্টায় গাজা উপত্যকার কয়েকটি এলাকায় ২০টি ভয়ঙ্কর গণহত্যা চালিয়েছে দখলদার সেনারা। এর ফলে কোনো কোনো পরিবারের সকল সদস্য নিহত হয়েছে।

আল-কুদরা বলেন, বিগত ২৪ ঘণ্টায় গাজার হাসপাতালগুলোতে ২১০টি মরদেহ নিয়ে আসা হয়েছে এবং ২,৩০০ আহত মানুষকে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া, হামলায় আহত বহু সংখ্যক মানুষ বিধ্বস্ত ভবনগুলোর নীচে চাপা পড়ে রয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র বলেন, এ নিয়ে গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকার ওপর শিশু হত্যাকারী ইসরাইল সরকারের নির্বিচার হামলায় নিহতের সংখ্যা ১৭,৭০০ জনে পৌঁছেছে। আর এ সময়ে আহত হয়েছেন আরো ৪৮,৭৮০ ফিলিস্তিনি।

আশরাফ আল-কুদরা জানান, শনিবারও ইসরাইলি সেনারা গাজার হাসপাতাল ও মেডিক্যাল স্টাফদের ওপর হামলা অব্যাহত রেখেছে। এদিন গাজার উত্তরাঞ্চলীয় কামাল আদওয়ান নও আল-আদওয়া হাসপাতালে হামলা চালায়। গাজার ইউরোপীয়ান হাসপাতালের কাছে আহতদের বহনকারী একটি অ্যাম্বুলেন্সে হামলা চালায় দখলদার সেনারা। এর ফলে আ্যম্বুলেন্সটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং দু’জন মেডিক্যাল স্টাফ আহত হন। এ নিয়ে গত দুই মাসে গাজায় মোট ৫৭টি অ্যাম্বুলেন্স হামলার শিকার হলো বলে তিনি জানান।

তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক আইনে হাসপাতাল ও অ্যাম্বুলেন্সে হামলা যুদ্ধাপরাধ হলেও ইসরাইলি সেনারা এই আইন বহুবার লঙ্ঘন করেছে। আর গোটা বিশ্ব তা দু’চোখ ভরে দেখছে। তিনি দখলদার সেনাদের এ অপরাধযজ্ঞ বন্ধ করতে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানান

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.