বাংলাদেশের জয় ছিনিয়ে নিল ফিলিপস-স্যান্টনার

১৩৭ রানের লক্ষ্য ছোট হলেও শুরুটা সাবধানীই করেছিল নিউজিল্যান্ড। কোন উইকেট না হারিয়ে ডেভন কনওয়ে ও টম লাথামের ব্যাটে লাঞ্চে যায় কিউইরা। তবে বিরতি থেকে ফেরার তৃতীয় ওভারেই কনওয়েকে লেগ বিফরের ফাঁদে ফেলেন শরিফুল। মাত্র ২ রানে সাজঘরে ফেরেন এই ওপেনার।

কনওয়েকে বিদায় করার পর দ্বিতীয় উইকেট হিসেবে কেন উইলিয়ামসনের উইকেট তুলে নেন তাইজুল ইসলাম। স্টাম্পিংইয়ে এই ক্রিকেটার বিদায় হন ১১ রানে। খানিক পর হেনরি নিকোলসকেও সাজঘরের পথ দেখান মিরাজ। ৩৩ রানে তৃতীয় উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়া নিউজিল্যান্ডকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হন টম ল্যাথামও। স্লিপে নাজমুল হোসেন শান্তর দারুণ এক ক্যাচে প্যাভিলিয়নে ফেরেন এই ব্যাটার।

৪ উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ড চেষ্টায় ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর। কিন্তু তাইজুলদের ঘূর্ণিতে সে চেষ্টা ব্যর্থ হয় কিউইদের। টম ব্লান্ডেলকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে বিদায় করেন তিনি। ৫১ রানে ৫ উইকেট হারানো নিউজিল্যান্ডকে দেখেশুনে এগিয়ে নিচ্ছিলেন মিচেল ও গ্লেন ফিলিপ্স। স্পিনারদের বিপক্ষে রিভার্স সুইপে বাড়তি ঝুঁকি নিয়ে রানও বের করছিলেন মিচেল। তবে এই রিভার্স সুইপই কাল হল তার জন্য। মিরাজের বিপক্ষে শটটি খেলতে গিয়ে স্লিপে শান্তর হাতে ধরা পড়েন তিনি। ৩৬ বলে ১৯ রান করে আউট হন তিনি।

৮৭ রানের ইনিংস খেলে নিউজিল্যান্ডকে লিড এনে দেয়ার কারিগর ছিলেন গ্লেন ফিলিপস। এমন একজনকে ফেরানোর সুযোগ ছিল রানের খাতা খোলার আগেই। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে ফিলিপসের ব্যাটের কানায় লাগা বল স্লিপে গেলেও সেটা লুফে নিতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। হাত ফসকে যাওয়া সেই ক্যাচই যেন শেষ পর্যন্ত কাল হয়েছে বাংলাদেশের।

থিতু হওয়া ড্যারিল মিচেলকে ফেরানো গেলেও ফিলিপসকে সাজঘরে পাঠানো যায়নি। বরং ফিলিপসের সঙ্গে বাংলাদেশের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়ান মিচেল স্যান্টনার। ৬৯ রানে ৬ উইকেট হারানো নিউজিল্যান্ডকে দারুণ এক জয় এনে দেন তারা দুজন। বাংলাদেশকে ৪ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে ড্র করলো নিউজিল্যান্ড।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.