নিরাপত্তা পরিষদে ইসরাইলকে ‘ধুয়ে দিল’ রাশিয়া

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বিরুদ্ধে চলমান ইসরাইলি গণহত্যা অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতির যে প্রস্তাব তোলা হয়েছিল তাতে ভেটো দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এর ফলে ইসরাইলকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেকে আরো বেশি একঘরে করে ফেলল ওয়াশিংটন।

গতরাতে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে সবগুলো আরব দেশের পাশাপাশি ৫৫টি দেশের পক্ষ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রস্তাবটি উত্থাপন করে। চীন, রাশিয়া ও ফ্রান্সসহ নিরাপত্তা পরিষদের ১৫টি স্থায়ী ও অস্থায়ী সদস্যদেশের মধ্যে ১৩টি প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। কিন্তু প্রস্তাবটির বিরোধিতা করে সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকা এবং ভোটদানে বিরত থাকে সাবেক উপনিবেশবাদী দেশ ব্রিটেন।

এর পর নিরাপত্তা পরিষদে জরুরি বৈঠকে রাশিয়ার কূটনীতিক পলিয়ানস্কি বলেন, সম্প্রতি ইসরাইলের পক্ষ থেকে এই জঘন্য দুঃখজনক তথ্য প্রকাশ হয়েছে যে, তারা গাজার টানেলগুলোতে পানি ভরে দেয়া পরিকল্পনা করছে। এ পর্যন্ত যেসব তথ্য প্রকাশ হয়েছে তাতে একথা পরিষ্কার হয়েছে যে, ইসরাইলি সেনারা গাজার টানেলগুলোতে পানি ভরার জন্য পাম্প সেট করেছে এবং এ ব্যাপারে বাস্তব পদক্ষেপ নেয়ার সম্ভাবনা নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা করছে। ইসরাইল যদি এটি করে তাহলে তা হবে নির্বিচার এবং সমুদ্রের পানি প্রবেশের ফলে গাজা উপত্যকা বসবাসের অনুপযুক্ত হয়ে উঠবে।

এর আগে অক্টোবরের মাঝামাঝি তথ্য-প্রমাণ ছড়িয়ে পড়ে যে গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদেরকে মিশরের দিকে তাড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করছে ইসরাইল।

পলিয়ানস্কি বলেন, ৭ অক্টোবর হামাসের অভিযানের বিপরীতে ইসরাইল যে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে তাকে কোনভাবেই ন্যায্য বলা যাবে না। মানবাধিকার আইন লঙ্ঘনের মধ্য দিয়ে অন্য পক্ষের কাছ থেকে মানবাধিকার আশা করা যায় না।

রাশিয়ার এ কূটনীতিক সংশয় প্রকাশ করে বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ইসরাইলি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কোনো কিছুই করতে পারবে না কারণ এই সংস্থাটি তার পশ্চিমা প্রভুর বিরুদ্ধে কোন কাজ করে না। ফলে আইসিসি ইসরাইলকে সম্ভবত ক্ষমা করে দেবে কারণ ইরাক, আফগানিস্তান এবং লিবিয়ায় পশ্চিমারা যে বর্বরতা চালিয়েছে সে ব্যাপারেও আইসিসি অন্ধ ছিল। পার্সটুডে

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.