রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন অনেকটা আকস্মিকভাবে মধ্যপ্রাচ্য সফর করেছেন। এ সফরে তিনি নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সঙ্গে নেন চারটি এসইউ-৩৫ জঙ্গিবিমান। এসব বিমান পুতিনকে এস্কর্ট করে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরবে নিয়ে যায়।
প্রেসিডেন্ট পুতিনের বিরুদ্ধে গত মার্চ মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে এবং সেই পরোয়ানা মাথায় নিয়েই তিনি এ সফর করেন। ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ সংঘটনের অভিযোগে পশ্চিমা বিশ্বের চাপে পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আইসিসি। আরব আমিরাত ও সৌদি আরব কেউই আইসিসি’র সদস্য নয়। ফলে দেশ দুটি গ্রেফতারি পরোয়ানা বাস্তবায়ন করতে বাধ্য নয়।
মধ্যপ্রাচ্যে যখন ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সঙ্গে ইসরাইলের প্রচণ্ড সংঘাত চলছে তখন পুতিন এই সফর করলেন। এছাড়া, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম ধরে রাখার জন্য গত সপ্তাহে তেলের উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংশ্লিষ্ট দেশগুলো। এক্ষেত্রে অমেরিকা ও পশ্চিমা বিশ্বের অনুরোধ রক্ষা করা হয়নি।
গতকাল সফরের পুতিন প্রথমে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যান এবং সেখানে দেশটির প্রেসিডেন্ট শেখ মুহাম্মাদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ানের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় আমিরাতের প্রেসিডেন্ট রুশ প্রেসিডেন্টকে “প্রিয় বন্ধু” বলে সম্বোধন করেন। বৈঠকে ব্যবসায়িক ও আঞ্চলিক ঘটনাবলী বিশেষ গুরুত্ব পায়।
আমিরাতে সংক্ষিপ্ত সফর শেষে সৌদি আরব যান রুশ প্রেসিডেন্ট। সেখানে তাকে অভ্যর্থনা জানান সৌদি যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমান। আলোচনার শুরুতেই পুতিন সৌদি যুবরাজকে বলেন, আপনাকে স্বাগত জানানোর কথা ছিল মস্কোতে কিন্তু বিশেষ পরিস্থিতিতে পরিকল্পনা বদল করতে হলো।
এছাড়া, পুতিন মধ্যপ্রাচ্যে সংক্ষিপ্ত সফর শেষে দেশে ফিরে গেছেন এবং আজই ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইবরাহিম রায়িসির রাশিয়া সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে। এরপর শুক্র ও শনিবার রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরব আমিরাত সফর করবেন। বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, এসব সফরের মধ্যদিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কিছু ঘটতে চলেছে। এছাড়া, পশ্চিমা বিশ্বকে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে রাশিয়া বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়নি। পার্সটুডে
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.