সংকটের মধ্যে ইসলামী ব্যাংকগুলোর অতিরিক্ত তারল্য কমেছে

দেশের ১০টি ইসলামী ব্যাংকের অতিরিক্ত তারল্য কমেছে। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে তারল্য কমেছে ৫৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ। চলমান সংকটের মধ্যে এসব ব্যাংকের তারল্য কমে ৭ হাজার ৭৬৭ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে ইসলামী ব্যাংকগুলোর অতিরিক্ত তারল্য কমে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৭৬৭ কোটি টাকায়। যা আগের প্রান্তিকে ছিল ৮ হাজার ৬৯০ কোটি টাকা। অর্থাৎ মাত্র তিন মাসে ব্যাংকগুলোর অতিরিক্ত তারল্য কমেছে ৯২৩ কোটি টাকা বা ১০ দশমিক ৬২ শতাংশ। আগের বছরের তুলনায় অতিরিক্ত তারল্য কমেছে ৯ হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা বা ৫৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ।

ব্যাংক কর্মকর্তারা বলেছেন, যে কোনো ব্যাংকের আমানত সংগ্রহ এবং ঋণ বিতরণের উপর নির্ভর করে অতিরিক্ত তারল্য। অর্থাৎ আমানতের চেয়ে বেশি ঋণ বিতরণ বা বিনিয়োগ করলে অতিরিক্ত তারল্য কমে যায়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর আমানত দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৩১ হাজার ৯৮৯ কোটি টাকায়। আগের প্রান্তিকের চেয়ে যার পরিমাণ ৩ হাজার ৯৮৯ কোটি টাকা বা দশমিক ৯৩ শতাংশ বেশি।

তবে সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ঋণ প্রদান বেড়েছে ৭ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকা। সেপ্টেম্বর শেষে ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর ঋণ প্রদান বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ২৯ হাজার ৭১ কোটি টাকা। আগের বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় ৩৭ হাজার ৭৬৯ কোটি টাকা বেড়েছে ঋণ প্রদান।

তবে এ খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে প্রবাসী আয় এসেছে সবচেয়ে বেশি। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর এ তিন মাসে রেমিট্যান্স বেড়ে ২৮ হাজার ৪৭ কোটি টাকায় ঠেকে। আগের প্রান্তিকে যার পরিমাণ ছিল ২২ হাজার ১৯২ কোটি টাকা। অর্থাৎ সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে প্রবাসী আয় আসা বেড়েছে ২৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

অর্থসূচক/এমএইচ/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.