আরও ২৪০ ফিলিস্তিনি নিহত; যুদ্ধবিরতি না হওয়ার কারণ জানাল হামাস

যুদ্ধবিরতির পর গত শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া ইসরাইলি হামলায় এ পর্যন্ত অন্তত ২৪০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। শনিবার গাজার বিভিন্ন স্থানে জঙ্গিবিমান ও কামানের সাহায্যে হামলা হয়েছে। খান ইউনিস ও রাফাহ এলাকায় জঙ্গিবিমান থেকে ব্যাপক বোমাবর্ষণ করা হয়েছে। এছাড়া, দেইর আল-বালাহ উপকূলীয় এলাকায় নৌযান থেকে হামলা চালানো হয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় গতকাল থেকে এ পর্যন্ত ২৪০ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও শত শত আহত হয়েছেন। হতাহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতির পর এখনও ইসরাইলি হামলা অব্যাহত রয়েছে এবং এরইমধ্যে আরও অনেক ফিলিস্তিনি হতাহত হয়েছেন। এ কারণে প্রতি মুহূর্তেই নিহতের সংখ্যা বাড়ছে।

ফিলিস্তিনি গণমাধ্যম জানিয়েছে, ইসরাইলি বাহিনী উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের আশেপাশের এলাকাগুলোতে ফসফরাস বোমা নিক্ষেপ করেছে।

এদিকে, ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের মুখপাত্র জিহাদ ত্বহা বলেছেন, নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতির আলোচনা সফল হতে দেয়নি কারণ গাজা যুদ্ধের সমাপ্তি মানেই নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের সমাপ্তি, এমনকি তাকে কারাগারেও যেতে হতে পারে। প্রতিরোধ আন্দোলনকে ধ্বংস এবং বিনা শর্তে ইসরাইলি বন্দীদেরকে মুক্ত করার লক্ষ্য ঘোষণা করেছিল নেতানিয়াহু। কিন্তু সে তার লক্ষ্য অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে ইসরাইলি কারাগার থেকে ৩০ ফিলিস্তিনি বন্দীর মুক্তির বিনিময়ে তিন জন ইসরাইলি বন্দীর মরদেহ ও সাতজন জীবিত ইসরাইলি বন্দীকে মুক্তি দিতে চেয়েছিল। কিন্তু ইসরাইল তিন বন্দীর লাশ নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। ঐ তিন ইসরাইলি গাজায় ইসরাইলেরই বর্বর হামলায় প্রাণ হারিয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর থেকে ৪৭ দিন যুদ্ধের পর ২৪ নভেম্বর প্রথম চারদিনের যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। পরে ওই সাময়িক যুদ্ধবিরতি আরো তিনদিন বাড়ানো হয়। এটির মেয়াদ আরো বাড়ানোর বিষয়ে নিবিড় আলোচনা চলার মধ্যেই গতকাল (শুক্রবার) সকাল থেকে ইসরাইল বিমান হামলা শুরু করলে যুদ্ধবিরতি ভেঙে যায়। এতে কাতার হতাশা প্রকাশ করে বলেছিল, যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চলতে থাকা অবস্থায় ইসরাইলের বিমান হামলা শুরু করা উচিত হয়নি। পার্সটুডে

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.