সমালোচনার মুখে সরিয়ে দেয়া হলো বাটকে

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডে (পিসিবি) বইছে পরিবর্তনের হাওয়া। বিশ্বকাপের পর পরই অধিনায়কের পদ থেকে ইস্তফা দেন বাবর আজম। তার জায়গায় টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক করা হয়েছে শাহীন শাহ আফ্রিদিকে। আর টেস্টের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে শান মাসুদকে।

পরিবর্তন এসেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের ম্যানেজমেন্টেও। প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব নিয়েছেন সাবেক পেসার ওয়াহাব রিয়াজ। ডিরেক্টর অব ক্রিকেট হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন মোহাম্মদ হাফিজ। যুব দলের নির্বাচক করা হয় সোহেল তানভীরকে।

সাবেক ক্রিকেটারদের মূল্যায়ন করায় বেশ প্রশংসায় ভাসছিল পিসিবি। যদিও সমালোচিত হতেও দেরি হয়নি। গত শুক্রবার সালমান বাট, কামরান আকমল ও রাও ইফতিখারকে প্রধান নির্বাচক রিয়াজের পরামর্শ হিসেবে নিয়োগ দেয় পিসিবি। মূলত এর পরই শুরু হয় সমালোচনা।

কারণ তিনজনই পাকিস্তানের পাঞ্জাব অঞ্চলের প্রতিনিধি। অনেকে দাবি করেন স্বজনপ্রীতি থেকেই তাদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে বসানো হয়েছে। এই সমালোচনা খুব একটা গ্রহণযোগ্যতা না পেলেও ২০১০ স্পট ফিক্সিংয়ে নিষিদ্ধ হওয়া সালমান বাটের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পাওয়া কেউই ভালোভাবে নিতে পারেনি।

জানা গেছে, বাটকে প্রধান নির্বাচকের পরামর্শক পদে নিয়োগ দেয়ার বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি পিসিবির শীর্ষ কর্মকর্তারাও। একজন তো রীতিমতো পদত্যাগের হুমকিও দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের স্থানীয় গণমাধ্যম। সমালোচনার মুখে অবশেষে সরিয়ে দেয়া হয়েছে বাটকে।

সংবাদ সম্মেলন করে বাটকে সরিয়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক রিয়াজ। তিনি বলেছেন, ‘সালমান বাটকে নিয়োগ দেওয়া নিয়ে আমার সমালোচনা হচ্ছে। বলা হচ্ছে আমি বন্ধুত্বকে প্রাধান্য দিয়েছি। এটা আমি হতে দিতে পারি না। যে কারণে আমি বাটকে নেয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করছি।’

তিনি নিশ্চিত করেছেন আরেক সাবেক ক্রিকেটার আসাদ শফিককে সাময়িকভাবে নির্বাচক প্যানেলে যুক্ত করা হবে। তবে যথারীতি নিজেদের কাজ চালিয়ে যাবেন বাকি দুই পরামর্শক কামরান আকমল ও রাও ইফতিখার।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.