তেলেঙ্গানা-ছত্তিশগড়ে এগিয়ে কংগ্রেস

ভারতের পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনপর্ব শেষ। বুখ ফেরত সমীক্ষা বলছে, ছত্তিশগড় ও তেলেঙ্গানায় কংগ্রেস জিততে পারে। মিজোরাম, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানে ভোটপর্ব আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল।

দেশটির বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে এক্সিট পোল বা বুথ ফেরত সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। ছত্তিশগড় ও তেলেঙ্গানার ক্ষেত্রে প্রায় সব চ্যানেলের বুথ ফেরত ভোট সমীক্ষা বলছে, কংগ্রেস জিততে চলেছে। রাজস্থানের ক্ষেত্রে মাত্র দুইটি চ্যানেল কংগ্রসকে এগিয়ে রেখেছে। দুইটি চ্যানেল বলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে, তবে বিজেপি এগিয়ে। আর চারটি চ্য়ানেল রাজস্থানে বিজেপি-কে অনেক এগিয়ে রেখেছে।

মধ্যপ্রদেশের ক্ষেত্রে পাঁচটি চ্যানেল কংগ্রেসকে এগিয়ে রেখেছে। আর বিজেপি-কে এগিয়ে রেখেছে চারটি চ্যানেল। ফলে মধ্যপ্রদেশে নিয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। যে চারটি চ্যানেল বিজেপি-কে এগিয়ে রেখেছে, তার মধ্যে তিনটি চ্যানেলের পূর্বাভাস, ২৩০ সদস্যের বিধানসভায় বিজেপি অন্ততপক্ষে ১৩৯টি আসন পাবে।

মিজোরামের ক্ষেত্রে চ্যানেলগুলি একেবারে আলাদা রায় দিয়েছে। তাদের পূর্বাভাস থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট, উত্তর পূর্বর এই রাজ্যে লড়াইটা হবে এমএনএফ এবং জেডপিএমের মধ্যে। দুইটি চ্যানেল এমএনএফকে এগিয়ে রেখেছে। দুইটি চ্যানেল জেডপিএমকে এগিয়ে রেখেছে। দুইটি চ্যানেল বলেছে কোনো দলই গরিষ্ঠতা পাবে না। তবে ছয়টি চ্যানেলই একমত যে, কংগ্রেস ও বিজেপি এই রাজ্যে সরকার গঠন করতে পারবে না। তবে হাং বিধানসভা হলে বা কোনো দল সংখ্য়াগরিষ্ঠতা না পেলে কংগ্রেস জোট করে ক্ষমতায় আসতেও পারে। তিনটি চ্যানেল কংগ্রেসকে সর্বাধিক ১০টি আসন দিয়েছে। বিজেপি যে দুটির বেশি আসন পাবে না, সে বিষয়েও সবকটি চ্যানেল একমত।

ছত্তিশগড়ে সবকটি চ্যানেলই কংগ্রেসকে এগিয়ে রেখেছে। চ্যানেলগুলি জানিয়েছে, কংগ্রেস ৯০ সদস্য়ের বিধানসভায় সর্বাধিক ৬৫ ও সবচেয়ে কম ৪১টি আসন পেতে পারে।

তেলেঙ্গানাতেও সবকটি চ্যানেল কংগ্রেসকে এগিয়ে রেখেছে। চ্যানেলগুলির মতে, ১১৯ সদস্যের বিধানসভায় কংগ্রেস সর্বাধিক ৮০ ও সবচেয়ে কম ৪৮টি আসন পেতে পারে। ভারতে লোকসভা ভোটের আগে এই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

বুথ ফেরত ভোট সমীক্ষার ফল যে সবসময় ঠিক হয়, এমন নয়। কখনো হয়, কখনো হয় না। আগামী ৩ ডিসেম্বর, রোববার ভোটগণনা হবে। সেদিন জানা যাবে, আসল ফলাফল। বোঝা যাবে, বুথ ফেরত সমীক্ষা মিললো কি না, মিললে কাদের মিললো। সূত্র: ডিডাব্লিউ, পিটিআই, এএনআই

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.