এখন অনেক ভালো কথা হবে, খারাপ করলে আবার সমালোচনা হবে: শান্ত

বিশ্বকাপ নিয়ে বাংলাদেশের প্রত্যাশার কমতি ছিল না। ভারত বিশ্বকাপের আগে ক্রিকেটার, সমর্থক কিংবা বোর্ড কর্তা, সবাই সেমিফাইনাল খেলার আশা দেখিয়েছিলেন। তবে চাওয়ার সঙ্গে পাওয়া মেলাতে পারেননি চান্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা। ব্যাটে-বলে পুরো বিশ্বকাপ জুড়ে নিজেদের হারিয়ে খুঁজেছে। হারতে হয়েছে নেদারল্যান্ডসের মতো দলের বিপক্ষেও। নয় ম্যাচের দুটিতে জয় পাওয়া কোনোভাবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির টিকেট কেটেছে।

বাংলাদেশ কেমন করেছে সেটা সাকিব আল হাসানের কথাতেই স্পষ্ট। ডাচদের বিপক্ষে হারের পর বাংলাদেশের অধিনায়ক এবারের বিশ্বকাপকে নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে বিশ্বকাপ হিসেবে আখ্যা দিয়েছিলেন। গত কয়েক বছর ধরে যারা বাংলাদেশকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিলেন তারা ফল না পাওয়ায় হতাশ হওয়াটা স্বাভাবিকই। যার ফলে পুরো বিশ্বকাপ জুড়েই ক্রিকেটারদের সমালোচনা হয়েছে। বিশ্বকাপের পরও থামেনি সমালোচনার ঝড়।

নিজেদের অন্যতম সেরা দল নিয়ে গেলেও সাফল্যের দেখা পায়নি। অথচ ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পূর্ণ শক্তির দলের বিপক্ষে খানিকটা তরুণ বাংলাদেশ ঠিকই জয় তুলে নিয়েছে। কিউইদের বিপক্ষে খেলেছেন বিশ্বকাপ দলের ৬ ক্রিকেটার।

ভারপ্রাপ্ত টেস্ট অধিনায়ক শান্তর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল হুট করে কি এমন পরিবর্তন হলো যার ফলে কিউইদের বিপক্ষে এমন দাপুটে জয় পাওয়া গেলো। এমন প্রশ্নের উত্তরে শান্ত বলেন, ‘কিছুই পরিবর্তন হয়নি, বাইরে কথা হতেই থাকবে। এখন অনেক ভালো কথা হবে আবার এক ম্যাচ খারাপ করলে অনেক খারাপ কথা, সমালোচনা হবে। এটা আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই, ওইটা নিয়ে আমরা চিন্তাও করি না। আমরা প্রতি ম্যাচে কিভাবে পরিকল্পনা করে আসতে পারি, প্রক্রিয়াটা কি যেটা আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে ওইটাই আমরা প্রতিনিয়ত করার চেষ্টা করি।’

সিলেট টেস্টের বেশিরভাগ সময়ই দাপট দেখিয়েছে বাংলাদেশ। কিউরা ম্যাচে ছিলেন খুব কম সময়ই। তৃতীয় দিনের পর থেকেই ম্যাচের প্রায় নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় স্বাগতিকরা। ১৫০ রানের জয়ের পরও শান্ত জানিয়েছেন, ‘আজকের ম্যাচটা জিততে পেরেছি, এমন না যে আজকের ম্যাচে সবকিছু ঠিক ছিল। এই ম্যাচে কি ভুল ছিল এগুলো নিয়ে পরবর্তী ম্যাচে কিভাবে পরিকল্পনা করে এগোতে পারি সেটাই পরিকল্পনা থাকে।’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.