মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে কর্মকর্তাদের পেশাদারী দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্র্যাক ব্যাংক ‘সমসাময়িক ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ’ বিষয়ক একটি অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং (এএমএল) সম্মেলনের আয়োজন করেছে।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) ঢাকার গুলশান শুটিং ক্লাবের কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী সম্মেলনে ব্যাংকের প্রায় ১৫০ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড ক্যামেলকো চৌধুরী মঈনুল ইসলাম।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হেড অব বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) মোঃ মাসুদ বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে যোগ দেন ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও এবং এবিবি’র চেয়ারম্যান সেলিম আর. এফ. হোসেন।
সম্মেলনটিতে সেশন পরিচালনা করেন বিএফআইইউ’র অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর মোঃ মাসুদ রানা, জয়েন্ট ডিরেক্টর মোঃ আল-আমিন রিয়াদ এবং জয়েন্ট ডিরেক্টর মোহাম্মদ ইসমাইল প্রধান। তারা বাণিজ্য-ভিত্তিক এবং ক্রেডিট-ব্যাকড মানি লন্ডারিং, অনলাইন জুয়া, বেটিং, গেমিং, ক্রিপ্টোকারেন্সি ও ফরেইন এক্সচেঞ্জের অবৈধ লেনদেন এবং এএমএল ও সিএফটি সিস্টেম চেক পরিদর্শন এবং রেটিং’র ঝুঁকি আর প্রভাবসহ মানি লন্ডারিং এবং সন্ত্রাসী অর্থায়ন সম্পর্কিত সমস্যা, টাইপোলজি এবং ট্রেন্ড সম্পর্কে বিস্তর আলোচনা করেন।
হেড অব বিএফআইইউ মোঃ মাসুদ বিশ্বাস মানি লন্ডারিং এবং সন্ত্রাসী অর্থায়ন প্রতিরোধের উপর জোর দেন, যেন তা দেশের অর্থনীতি ও সমাজে বিরূপ প্রভাব ফেলতে না পারে। তিনি সাম্প্রতিক সময়ে বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে অস্থিরতার অন্যতম কারণ হিসেবে হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ পাচারকে তুলে ধরেন। হেড অব বিএফআইইউ জানান, হুন্ডির মতো অবৈধ ট্রান্সফার-গুলোর জন্য এখন পদ্ধতি পরিবর্তন করে অনলাইন চ্যানেল ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতার ফলে এক্ষেত্রে গত ২০ বছরে বাংলাদেশের অগ্রগতি ও অর্জন তুলে ধরেন।
মানি লন্ডারিং সমস্যা প্রতিরোধে ব্র্যাক ব্যাংকের জোরদার পদক্ষেপের বিষয়ে মন্তব্য করে ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও সেলিম আর. এফ. হোসেন বলেন, “ব্র্যাক ব্যাংকের জন্য অর্থ পাচার প্রতিরোধ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, এটি দেশের সবচেয়ে কমপ্লায়েন্ট ব্যাংক হয়ে উঠতে এবং ইন্ডাস্ট্রিতে গভর্নেন্স বেঞ্চমার্ক প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করে। তাই আমরা আমাদের কর্মীদের সক্ষমতা বাড়াতে বিএফআইইউ’র সঙ্গে সম্মিলিতভাবে কাজ করছি। ক্রমাগত প্রশিক্ষণ এবং সচেতনতামূলক উদ্যোগের মাধ্যমে, আমরা ব্যাংকিং খাতে এএমএল বিধি পরিপালনে একটি রোল মডেল হওয়ার লক্ষ্য রাখি।”
মানি লন্ডারিংয়ের সাম্প্রতিক প্রবণতা এবং টাইপোলজি সম্পর্কে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি, এগুলো প্রতিরোধে নিজেদের ভূমিকা বুঝতে ব্যাংকের কর্মকর্তাদের জন্য অনুষ্ঠানটি অত্যন্ত ফলপ্রসূ ছিল। একটি মূল্যবোধ-ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে, ব্র্যাক ব্যাংক কর্মকর্তাদের জ্ঞান ও পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে তাদের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্যভাবে বিনিয়োগ করে।
অর্থসূচক/ এইচএআই



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.