অবশেষে স্থগিত করা হলো ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা। হরতাল-অবরোধে নিরাপত্তা শঙ্কা মাথায় নিয়ে পরীক্ষায় বসতে চাননি প্রার্থীরা। অন্যদিকে পরীক্ষা নিতে অনড় ছিল পিএসসি। যদিও এর আগে পরীক্ষার সময়সূচি ও আসনবিন্যাসও প্রকাশ করেছিল সংস্থাটি সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) বিকেলের দিকে পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আনন্দ কুমার বিশ্বাসের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে আনুষ্ঠানিকভাবে লিখিত পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, আগামী ২৭ নভেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকাসহ দেশের সব বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠেয় ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা (আবশ্যিক ও পদ-সংশ্লিষ্ট) অনিবার্য কারণবশত কমিশন স্থগিত করেছে। পরীক্ষার পরিবর্তিত তারিখ ও সময়সূচি যথাসময়ে কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
জানা গেছে, হরতাল-অবরোধ ও নির্বাচনী তৎপরতার মধ্যে পরীক্ষাকেন্দ্রে যাতায়াত নিয়ে নিরাপত্তা শঙ্কার কথা জানিয়ে আসছিলেন পরীক্ষার্থীরা। গত ১৯ নভেম্বর প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনে গিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বরাবর পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে স্মারকলিপি দেন। একই দাবিতে পিএসসিতেও লিখিত আবেদন করেন। মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) তারা আবারও সিইসিকে লিখিত আবেদন দেন।
পরীক্ষা পেছাতে প্রার্থীদের সপ্তাহব্যাপী দৌড়ঝাঁপে পাত্তা না দিয়ে বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় লিখিত পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি ও আসনবিন্যাস প্রকাশ করে পিএসসি। তাতে ২৭ নভেম্বরই পরীক্ষা শুরু হবে বলে জানানো হয়।
গত ৬ জুন ৪৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে মোট ১২ হাজার ৭৮৯ জন ৪৫তম বিসিএসের প্রিলিতে উত্তীর্ণ হন। এ বিসিএসের মাধ্যমে মোট ২ হাজার ৩০৯ জনকে ক্যাডার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে। আর নন-ক্যাডারে নেওয়া হবে ১ হাজার ২২ জন।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.