আজ ১৩ বন্দিকে মুক্তি দিতে পারে হামাস

হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে সমঝোতা আগেই হয়েছিল। কাতার-মিশর এবং আমেরিকার মধ্যস্থতায় সেই সমঝোতায় ঠিক হয়েছিল, শুক্রবার থেকে চার দিন সাময়িক সময়ের জন্য লড়াই বন্ধ থাকবে। সে সময় গত ৭ অক্টোবর হামাস যাদের ইসরায়েল থেকে বন্দি করেছে তার মধ্যে ৫০ জনকে মুক্তি দেওয়া হবে। অন্যদিকে ইসরায়েলও বেশ কিছু ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে।

কাতার জানিয়েছে, আজ স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে লড়াই বন্ধ থাকবে। প্রথম বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে বিকেল ৪টা নাগাদ। তার মাঝে গাজার মানুষের জন্য মানবিক ত্রাণও নিয়ে যাওয়া হবে। তবে আজ ১৩ বন্দিকে মুক্তি হতে পারে।

তবে শুক্রবারের এই বিরতি সাময়িক বলে জানিয়ে দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবং সামরিক প্রধান। সামরিক মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘একটা লম্বা লড়াইয়ের মাঝে সামান্য বিরতি।’ তার বক্তব্য, উত্তর গাজায় আধিপত্য কায়েম করা এই লড়াইয়ের প্রথম পদক্ষেপ বলা যেতে পারে। এখনো অনেক লড়াই বাকি আছে। তিনি জানিয়েছেন, পরবর্তী লড়াইয়ের পরিকল্পনা শুরু হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যেই পরবর্তী ধাপের লড়াই শুরু হবে।

দ্য টাইমস অফ ইসরায়েল পত্রিকায় দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, আরও অন্তত দুই মাস লড়াই চলবে। পত্রিকাটি জানিয়েছে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী দেশটির সেনা বাহিনীকে পরবর্তী ধাপের লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। নতুন করে অস্ত্রের জোগান দেওয়ার কথাও বলেছেন। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, ‘লড়াই চলবে কারণ, বাকি পণবন্দিদের মুক্ত করতে হবে। হামাসের উপর চাপ তৈরি না করলে সে কাজ সম্ভব হবে না।’ শুধু তা-ই নয়, তিনি জানিয়েছেন, যে কাজ শুরু হয়েছে, তা শেষ করতে হবে। অর্থাৎ, গাজা স্ট্রিপে ইসরায়েলের ক্ষমতা সম্পূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

ইসরায়েল জানিয়েছে, আল-শিফা হাসপাতালের প্রধানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তিনি হাসপাতালের ভিতর হামাসকে দপ্তর বানানোর জায়গা করে দিয়েছিলেন। ইসরায়েলের দাবি, আল-শিফা হাসপাতালের নিচে হামাস তাদের দপ্তর তৈরি করেছিল। মাটির তলার সেই দপ্তর থেকেই তারা লড়াই পরিচালনা করছিল। যদিও হামাস এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। হামাস জানায়, ইসরায়েল হাসপাতালেও আক্রমণ চালিয়েছে। যার জেরে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, তিনি ফিঙ্গার ক্রস করে রেখেছেন। শুক্রবার বাকি বন্দিদের সঙ্গে এক ৩ বছরের ইসরায়েলি-মার্কিন শিশুকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল। ৭ অক্টোবর তাকেও তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বাইডেন এদিন জানিয়েছেন, সমস্ত বন্দিকে মুক্ত করা আমেরিকা দায়িত্ব বলে মনে করে। সূত্র: ডিডাব্লিউ, রয়টার্স, এপি, এএফপি

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.