সিএসআর নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা

জলবায়ু ঝুঁকি তহবিলের গঠন, ব্যবস্থাপনা এবং সিএসআর (কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি) কার্যক্রম নিয়ে দেশের তফসিলি ব্যাংকগুলোকে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্ট থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে। সার্কুলারটি দেশের সকল তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠনো হয়েছে।

জানা গেছে, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বার্ষিক সিএসআর বাজেটে পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রশমন ও অভিযোজন খাতে ২০ শতাংশ বরাদ্দ করতে হয়। এই খাতের অর্ধেকই এখন থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী জলবায়ু ঝুঁকি তহবিলে ব্যয় করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রশমন ও অভিযোজন খাতে ব্যয়ের নির্ধারিত ক্ষেত্রসমূহে অনুদান প্রদান এখন থেকে জলবায়ু ঝুঁকি তহবিলের ব্যয় হিসেবে বিবেচিত হবে। এ খাতে সুদে অর্থায়ন করলে ‘সুদ ভর্তুকি ব্যয়ও’ জলবায়ু ঝুঁকি তহবিলের ব্যয় হিসেবে বিবেচনা করতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বালাদেশ ব্যাংক বলছে, পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ে সচেতনতা প্রচারণামূলক অনুষ্ঠান, সভা, সেমিনার, ওয়ার্কশপ আয়োজন করলে সেটি ইভেন্ট হিসেবে হিসেবে বিবেচিত হবে। আর এসব ইভেন্টের বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংরক্ষণ করতে হবে। দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবসম্পন্ন কার্যক্রমসমূহে অনুদান এবং হ্রাসকৃত সুদে অর্থায়ন প্রকল্প হিসেবে বিবেচিত হবে।

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রশমন ও অভিযোজন খাতসহ এসআরএফের আওতাধীন জলবায়ু সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রসমূহে হ্রাসকৃত সুদ হারে অর্থায়ন করলে হ্রাসকৃত অংশ ভর্তুকী হিসেবে জলবায়ু ঝুঁকি তহবিলের ব্যবহার করা যাবে বলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে।

ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ এর ১৮ (ছ) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এসব নির্দেশনা জারি করা হয়েছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়েছে।

অর্থসূচক/এমএইচ/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.