বাংলাদেশের গ্রস রিজার্ভ এখন ২ হাজার ৫১৬ কোটি ডলার বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেসবাউল হক৷ বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
বাফেদা ও এবিবির ডলারের দাম কমানোর প্রেক্ষিতে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার দাম নির্ধারণ হয় চাহিদা ও যোগানের ভিত্তিতে। বাজারের বিষয় চিন্তা করেই বাফেদা ডলারের দাম নির্ধারণ করে দেয়। মূলত চাহিদা এবং যোগানের ভিত্তিতেই ডলারের দাম নির্ধারণ করা হয়। যোগান ও চাহিদার ভিত্তিতে বাফেদা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা সঠিক।
রিজার্ভ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা প্রতিদিন গ্রস রিজার্ভ হিসাব করি। গতকাল পর্যন্ত আমাদের গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলার।
মুখপাত্র বলেন, সরকার যদি আইএমএফ, এডিবি বা কোনো ইস্যুতে বৈদেশিক মুদ্রা গ্রহণ করে তখন আমাদের রিজার্ভে সেটি যুক্ত হয়৷ সরকার অনেক ক্ষেত্র থেকে বৈদেশিক মুদ্রা গ্রহণ করে থাকে।
মেজবাউল হক বলেন, আমাদের লক্ষ্য কিন্তু ডিসেম্বরের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশে নামিয়ে আনা৷ এজন্য আমরা পলিসি রেটেও বড় পরিবর্তন করেছি৷ ইতিমধ্যে মার্কেটে আমরা এর প্রভাব দেখতে পেয়েছি।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ তারা ১২৫ টাকা মূল্যেও এলসি করতে পারছে না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মার্কেট আর ইনডিভিজুয়াল দুইটা আলাদা জিনিস। ইনডিভিজুয়ালটা কিন্তু মার্কেট নয়। গতকালও মানি চেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে তারা ১১৩ টাকা থেকে ১১৭ টাকা দরে ডলার বিক্রি করেছে।
অর্থসূচক/এমএইচ/এমএস



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.