ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেছেন, আমরা মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিরোধ নেতাদের মুখে শুনেছি তাদের আঙুল বন্দুকের ট্রিগারে রয়েছে এবং ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও তাদের লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত তাদের আঙুল ট্রিগার থেকে সরবে না। গাজা উপত্যকার নির্যাতিত ফিলিস্তিনি জনগণ ছয় সপ্তাহ ধরে ইসরাইলের বর্বরোচিত হামলার বিরুদ্ধে যে বীরোচিত প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন তাতে প্রমাণিত হয়েছে, যদি যুদ্ধ চালিয়ে নেয়া হয় তাহলে তেল আবিব সুবিধা করে উঠতে পারবে না। গোটা বিশ্ব জনমত চলমান যুদ্ধে দখলদার ইসরাইল ও তার প্রধান পৃষ্ঠপোষক আমেরিকাকে পরাজিত পক্ষ বলে মনে করছে।
বুধবার লেবানন সফরে গিয়ে বৈরুতে এক বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সফরে আমির-আব্দুল্লাহিয়ান হামাস ও ইসলামি জিহাদ আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ ছাড়া তিনি হিজবুল্লাহ মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহর পাশাপাশি লেবাননের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে জানা গেছে।
ইরানের শীর্ষ কূটনীতিক বলেন, গাজা উপত্যকার পাশাপাশি ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের ভবিষ্যত নির্ধারণের সিদ্ধান্ত একমাত্র ফিলিস্তিনি জনগণ নেবে অন্য কেউ নয়। এ ব্যাপারে কারো মনে যেন কোনো সংশয় না থাকে। আঞ্চলিক নিরাপত্তাকে কীভাবে সর্বোচ্চ পর্যায়ে বহাল রেখে ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার রক্ষা করা যায় তা নিয়ে তিনি বৈরুতে লেবাননের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
ইসরাইল ও হামাস গাজা উপত্যকায় সাময়িক যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি করার পর ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৈরুত সফরে গেলেন। ওই চুক্তি অনুযায়ী আজ সকাল ১০টা থেকে গাজায় চার দিন ইসরাইলি হামলা বন্ধ রাখার কথা ছিল; যদিও তা একদিন পিছিয়ে যাওয়ার কথা বলেছে তেল আবিব। এছাড়া, চুক্তির আওতায় অন্তত ১৫০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়ার কথা ইসরাইলের। পাশাপাশি গাজায় প্রতিদিন ৩০০ ট্রাক করে মানবিক সহায়তা প্রবেশের সুযোগ দেয়ার কথা এবং এসবের বিনিময়ে হামাসের পক্ষ থেকে ৫০ ইসরাইলি নারী ও শিশু বন্দিকে মুক্তি দেয়ার কথা রয়েছে। পার্সটুডে
অর্থসূচক/এএইচআর
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.