ইসরাইলি জাহাজ আটক করল হুতিরা

ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ প্রতিরোধ আন্দোলন হুতি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগর থেকে ৫২ জন ক্রুসহ একটি ইসরাইলি জাহাজ আটক করেছে। সম্প্রতি হুতিরা বলেছিল, গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি পাশবিক হামলা বন্ধ না হলে লোহিত সাগর দিয়ে চলাচলকারী যেকোনো ইসরাইলি জাহাজকে টার্গেট করা হবে।

লেবাননের আল-মায়াদিন টেলিভিশন খবর দিয়েছে, ইয়েমেনের নৌবাহিনী (হুতিরা) লোহিত সাগরের গভীর থেকে ইসরাইলি জাহাজটি আটক করতে সক্ষম হয়। জাহাজটির ক্রুদেরকে বর্তমানে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং ইয়েমেনের যথাযথ কর্তৃপক্ষ এসব ক্রুর জাতীয়তা পরীক্ষা করে দেখছে।

এদিকে, ‘গ্যালাক্সি লিডার’ নামক আটক জাহাজটি ইসরাইলি মালিকানাধীন বলে দেশটির গণমাধ্যম স্বীকার করেছে। তবে তারা দাবি করেছে, জাহাজটিতে ইসরাইলের কোনো ক্রু ছিল না; যদিও ইয়েমেন এখন পর্যন্ত এই দাবির সত্যতা নিশ্চিত করেনি।

ইসরাইলি জাহাজ আটক করার পর হুতিদের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারিয়ি এক ভিডিও বার্তায় বলেন, নির্যাতিত ফিলিস্তিনি জাতির ওপর ভয়াবহ ইসরাইলি অপরাধযজ্ঞের বিপরীতে ধর্মীয়, নৈতিক ও মানবিক দায়িত্ববোধ থেকে তারা ইসরাইলি জাহাজ আটক করেছেন। আটক ক্রুদের সঙ্গে সদয় আচরণ করা হচ্ছে।

সশস্ত্র বাহিনীটির মুখপাত্র বলেন, ইসরাইলি শত্রুর যেকোনো জাহাজকে হামলার বৈধ টার্গেট বানাবেন তারা। তিনি লোহিত সাগরে ইসরাইলি কোনো জাহাজে আরোহণ না করার জন্য বিশ্বের সকল দেশের জাহাজ ক্রুদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

এর আগে জেনারেল ইয়াহিয়া সারিয়ি বলেছিলেন, লোহিত সাগর দিয়ে চলাচলকারী ইসরাইলি মালিকানাধীন বা ইসরাইলি কোনো কোম্পানির ব্যবহৃত অথবা ইসরাইলি পতাকাবাহী যেকোনো জাহাজে হামলা চালানো হবে। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের চলমান গণহত্যার প্রতিবাদে তারা এ কাজ করবেন বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। তিনি ইসরাইলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জাহাজগুলো থেকে নিজেদের ক্রুদের প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য বিশ্বের সকল দেশের প্রতি আহ্বান জানান। পার্সটুডে

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.