বিশ্বকাপ যেন দেশেই থাকে, রোহিত-কোহলিদের উদ্দেশে হার্দিক

বাংলাদেশ ম্যাচে পাওয়া চোটের কারণে বিশ্বকাপের বাকি অংশ থেকে ছিটকে গেছেন হার্দিক। গ্রুপ পর্বের মাঝামাঝিতেই ছিটকে গেছেন এই অলরাউন্ডার। হার্দিক ছিটকে গেলেও চলতি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে ভারত। ইনজুরিতে পড়ার পর ৩০ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডারকে সুস্থ করে তুলতে বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে পাঠায় ভারত। সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন হার্দিক। যদিও সেমিফাইনাল ম্যাচটি মাঠে বসে উপভোগ করতে দেখা যায় তাকে। থাকবেন আহমেদাবাদের ফাইনালেও।

তাই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই মহারণে যেন ভারতই জেতে, দলের বাইরে থেকে এমনটাই প্রত্যাশা করলেন হার্দিক।

নিজ প্রত্যাশার কথা জানিয়ে হার্দিক বলেন, বিশ্বকাপ যেন দেশেই থাকে। এই দলের উপর আমি খুব গর্বিত। এখনও পর্যন্ত আমরা যা খেলছি তা এত দিনের কঠিন পরিশ্রমের ফসল। বিশ্বকাপ জেতা থেকে মাত্র এক কদম দূরে আমরা। ছোটবেলা থেকে এই স্বপ্নই আমরা দেখেছি। দেশের ১৪০ কোটি মানুষ এই স্বপ্ন দেখছেন। তারা সবাই আমাদের পাশে রয়েছেন। সব সময় দলের সঙ্গে আছি। আমার মন সব সময় তোমাদের পাশে রয়েছে। রবিবার নিজেদের সেরাটা দাও। তা হলেই আমরা সফল হব। এ বার সময় হয়েছে কাপটা দেশে রাখার। জয় হিন্দ।

বাংলাদেশের বিপক্ষে ইনিংসের নবম ওভারে হার্দিক পান্ডিয়ার হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। প্রথম বলটি ডট করলেও দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে চার মেরেছিলেন লিটন দাস। তৃতীয় বলে স্ট্রেইট ড্রাইভ করেছিলেন বাংলাদেশি এই ওপেনার। বলটি পা দিয়ে ফেরাতে গিয়ে অপ্রস্তুতভাবে পড়ে যান হার্দিক। সেই সময় বাঁ পায়ে চোট পান এই অলরাউন্ডার। এরপর মাঠেই ফিজিওর সেবা নিতে দেখা যায় তাকে। পায়ে অস্বস্তি থাকায় তারপর মাঠ ছাড়েন তিনি। তার পরিবর্তে ওভার সম্পন্ন করেন বিরাট কোহলি। এরপর ম্যাচ চলাকালীনই স্ক্যান করানোর জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয় হার্দিককে। তার ছিটকে যাওয়া নিশ্চিত হলে বদলি হিসেবে দলে ডাকা হয় পেসার প্রসিধ কৃষ্ণাকে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.