এবারের বিশ্বকাপে সবমিলিয়ে মাত্র চারটি ম্যাচ জিতেছে পাকিস্তান। এমন পারফরম্যান্সে সেমিফাইনালে না উঠেই দেশে ফিরেছে দলটি। ব্যর্থতার দায় সবচেয়ে বেশি এসেছে বাবর আজমের কাঁধে । দলটির অধিনায়ক হিসেবে তেমন কিছুই করতে পারেননি তিনি। গুঞ্জন উঠেছে, বিশ্বকাপের প্রথম পর্ব থেকেই ছিটকে পড়ায় নেতৃত্ব হারাতে পারেন বাবর। কেননা মাঠে এবং মাঠের বাইরে তার সমালোচনা ক্রমাগতই করে যাচ্ছেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটাররা। বিশেষ করে তার নেতৃত্বের সমালোচনা চলছে ।
এ ছাড়া পাকিস্তানের বিভিন্ন টিভি-চ্যানেলে সাবেক ক্রিকেটারদের আতশি কাঁচের নিচে এসেছে বাবরের ব্যাটিং পারফরম্যান্সও। পুরো আসরে ব্যাট হাতে একেবারেই ব্যর্থ হন এই টপ অর্ডার ব্যাটার। আসরে ৯ ম্যাচে চারটি হাফ সেঞ্চুরিসহ ৪০ গড়ে করেন ৩২০ রান। যদিও নিজের এমন দুর্দিনে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কপিল দেবকে পাশে পাচ্ছেন বাবর।
কপিল বলেন, ‘আপনি আজ যদি বলেন বাবর আজম অধিনায়ক হিসেবে ঠিক পছন্দ নয়, তার মানে আপনি তার সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের দিকে তাকাচ্ছেন। সে সেই একই অধিনায়ক আছে, যে কিনা ছয় মাস আগে পাকিস্তানকে আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে ১ নম্বর দল বানিয়েছিল। কেউ যখন শূন্য রানে আউট হয়, ৯৯ শতাংশ মানুষ চাইবে তাকে বাদ দেওয়া হোক। আবার কোনো সাধারণ মানের খেলোয়াড় এসে যদি দুর্দান্ত একটি শতক করে, তাকেই মানুষ তারকা বলবে। তাই সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের দিকে তাকাবেন না। খেলাটার প্রতি তার মনোভাব কী, তার আবেগ কতটা এবং সে কতটা প্রতিভাবান; সেটাই দেখুন।’
এবারের বিশ্বকাপে দুই জয়ে আসর শুরু করে পাকিস্তান। যদিও এরপরে টানা চারটি ম্যাচ হেরে নড়বড়ে অবস্থানে চলে যায় পাকিস্তান। শেষদিকে আরও দুটি ম্যাচ জিতলেও সেটি যথেষ্ট ছিল না।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.