২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচের দায়িত্ব নিয়েছিলেন ডোনাল্ড। সাউথ আফ্রিকার সাবেক এই পেসারের অধীনে উন্নতি চোখে পড়েছে শরিফুল ইসলাম, ইবাদত হোসেন, হাসান মাহমুদ, তাসকিন এবং মুস্তাফিজুর রহমানদের। একাদশে গুরুত্বও বেড়েছে পেসারদের। বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত পেসাররা যেভাবে পারফর্ম করেছেন সেটার কৃতিত্ব পেতেই পারেন ডোনাল্ড।
এদিকে আরও এক বছর বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ হিসেবে কাজ করার প্রস্তাব ছিল অ্যালান ডোনাল্ডের সামনে। তবে বোর্ড কর্তার কাছে কটাক্ষের স্বীকার হওয়ার পাশাপাশি পারিবারিক কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশকে বিদায় বলেছেন তিনি। সদ্য বিদায়ী এই কোচকে শুভ কামনা জানিয়েছেন তাসকিন আহমেদ।
সাউথ আফ্রিকার এই পেসার চলে যাওয়ায় নতুন কাউকে খুঁজতে হবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি)। তাসকিন বলেন, ‘সে অসাধারণভাবে আমাদের পেস বোলিং গ্রুপকে টেইক কেয়ার করতো। ভালো হোক বা খারাপ হোক, সবসময় পাশে থাকতো। মোটিভেট করতো আর ব্যক্তিগতভাবে আমি খুবই উপভোগ করেছি উনার সাথে কাজ করে। সে (ডোনাল্ড) চলে গেল, এটাই পেশাদার জীবন। সব কোচই দুই বছর, চার বছর পর চলে যাবে। তার সামনের দিনগুলোর জন্য শুভ কামনা থাকল। ভবিষ্যতে আরও একজন ভালো বোলিং কোচের আশা করছি।’
নিজেদের মাঝে কথা বলার জন্য পেসারদের নিয়ে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলেছিলেন ডোনাল্ড। অনেকেই এমনটা করে থাকেন। চাকরি ছাড়লে অবশ্য এসব গ্রুপের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া কঠিন। ডোনাল্ড অবশ্য গ্রুপটাকে বাঁচিয়ে রাখতে চান। হোয়াটসঅ্যাপ থেকে গ্রুপটি ডিলিট করতে চান না সাউথ আফ্রিকার সাবেক এই পেসার। তাসকিনরা চাইলেই যেন যোগাযোগ করতে পারেন সেই দরজা খোলা রাখছেন বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ। সেই সঙ্গে তাসকিন, ইবাদতদের কাজ করার সুযোগ দেয়ায় বিসিবিকে ধন্যবাদ দিয়েছেন ডোনাল্ড।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.