প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা যখনই ক্ষমতায় এসেছি তাদের উন্নয়ন করেছি। আমরা সৃষ্টি করি। আর বিএনপি তা ধ্বংস করে। চোখ থাকতেও অন্ধ হওয়ায় আমাদের বিরোধী নেতারা দেশের উন্নয়ন দেখতে পাচ্ছে না। এ সময় আধুনিক চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে গিয়ে বিএনপি নেতাদের চোখের চিকিৎসার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মূলত চোখের পাশাপাশি বিএনপি নেতাদের মনটাও অন্ধ হয়ে গেছে। এদের ব্যাপারে সবাইকে সাবধান থাকতে হবে। তারা ধ্বংস জানে, সৃষ্টি জানে না। তারা আগুনে পুড়িয়ে মানুষ মারে।
শনিবার (১১ নভেম্বর) দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন, কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনসহ বেশ কিছু প্রকল্প উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশের রেলপথসহ নতুন সড়ক ও সেতু নির্মাণের বর্ণনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা রেলকে গুরুত্ব দিয়েছি যাতে সাধারণ মানুষ কম খরচে যাতায়াতের সুযোগ পায়।
কক্সবাজার রেললাইন ও কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনের গুরুত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুদূর পঞ্চগড় ও ফরিদপুরসহ সারা দেশের মানুষ যাতে সহজেই রেলপথ ধরে কক্সবাজারে আসতে পারেন, আমরা সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছি।
গত ১৫ বছরে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বড় বাজেট দিয়ে আমাদের সক্ষমতা প্রদর্শন করেছি এবং বাস্তবায়নও করেছি। করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে গেছে। আমদানি ব্যয় বেড়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি আছে। এজন্য সবাইকে বলবো, যতটুকু জমি আছে সেখানে কিছু না কিছু চাষাবাদ করুন। নিজের খাদ্য নিজে উৎপাদন করুন। তাহলে আমরা হতে পারবো স্বনির্ভর।
দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা তুলে ধরে তিনি বলেন, বিএনপি আমলে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এখন বেশ শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে। আমাদের দুর্ভাগ্য করোনা মহামারির পরই শুরু হলো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এতে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কবলে পড়তে হয় সবাইকে। আমরাও এর বাইরে নই। যার যতটুকু জমি আছে তা চাষাবাদের আওতায় আনতে হবে। আমাদের উৎপাদন বাড়াতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, রেল অবহেলিত ছিল। পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগ যারা তুলেছিল, তাদের পরামর্শ ছিল- দেশে রেল চলবে না, রেল ভায়াবল হবে না। আমরা উদ্যোগ নেই। এ পর্যন্ত ৮৭৩ কিলোমিটার নতুন রেল লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। ২৮০ কিলোমিটার রেল লাইনকে ডুয়েল গেজে রূপান্তর করা হয়েছে। এভাবে আমরা সব যায়গায় রেল যোগাযোগ স্থাপন করেছি।
এর আগে বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে কক্সবাজারের উদ্দেশে ঢাকা থেকে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী। কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে সড়ক পথে আইকনিক রেলস্টেশনে যান তিনি। প্রধানমন্ত্রীকে স্থানীয় সাংস্কৃতিক কর্মীরা নেচে-গেয়ে অভ্যর্থনা জানান। সেখানে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০২ কিলোমিটার রেললাইনে রেল চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করেন এবং কক্সবাজারে আইকনিক রেলস্টেশন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.