তেলের দাম ৪ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন

যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত তেলের দাম কমে ব্যারেল প্রতি ৭৮ ডলারের নিচে নেমেছে। গত চার মাসের মধ্যে তেলের সর্বনিম্ন দাম এটি। ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের অনিশ্চয়তার কারণে দামের এই পতন হয়েছে।

সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ৭৮ ডলারের নিচে নেমে গেছে, যা জুলাইয়ের পর সর্বনিম্ন দাম। আজ এটির দাম আরও কমে ৭৬ ডলারে নেমে এসেছে। ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে একটি বড় অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এর ফলে বৈশ্বিক অর্থনীতি আরও দুর্বল হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

দেখা গেছে, বুধবার ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুডের দাম কমেছে প্রায় ১.১৯ ডলার বা ১ দশমিক ৫০ শতাংশ। ফলে এ প্রতিষ্ঠানটির তেলের দাম দাঁড়িয়েছে ৭৬.১৯ ডলার। অপরদিকে এদিন ব্রেন্ট ক্রুডের দাম কমেছে ১ দশমিক ১৩ শতাংশ। এর ফলে প্রতি ব্যারেল তেলের দাম দাঁড়িয়েছে ৮০.৮২ ডলার।

অক্টোবর মাসে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই অর্থনীতি চীনের তেল আমদানির পরিমাণ ও দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে দেশটির সামগ্রিক রপ্তানি প্রত্যাশার চেয়ে বেশি কমেছে। এর ফলে বৈশ্বিক চাহিদাও কমার ইঙ্গিত তৈরি হয়েছে।

এক বছর আগের একই সময়ের তুলনায় অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শর্তে চীনের রপ্তানি কমেছে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। যেখানে রয়টার্সের এক জরিপে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিলো, ৩ দশমিক ৩ শতাংশের। উচ্চ সুদের হার বিশ্ব অর্থনীতিতে নিম্নমুখী চাপ সৃষ্টি করেছে। এর ফলে চীনের রপ্তানি টানা ছয় মাস ধরে কমেছে।

ব্লুমবার্গ টেলিভিশনকে মিনিয়াপোলিস ফেডের প্রেসিডেন্ট নীল কাশকারি বলেন, মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমাতে পারে। আমাদের একটি যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ২ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে। শেষ পর্যন্ত অর্থনীতি আমাদের বলে দেবে সেখানে পৌঁছানোর জন্য কি করা প্রয়োজন।

ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর তেলের দাম বেড়ে গিয়েছিল। কারণ যুদ্ধটি একটি বৃহত্তর আঞ্চলিক সংঘাতে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিলো। তবে অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে তেলের দাম আবারও কমেছে। সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার উদ্বেগ কমেছিলো।

 

অর্থসূচক/এমএইচ/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.