ম্যাথিউসকে ‘টাইমড আউট’ করা পছন্দ হয়নি বাংলাদেশ কোচেরও

অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের টাইমড আউট কান্ডে অনেকেই সমালোচনা করেছে সাকিব আল হাসানের। ওয়াসিম আকরাম, মিসবাহ ইল হক, শহিদ আফ্রিদি, হরভজন সিং’রা যেমন সাকিবের সমালোচনা করেছেন অথবা তার ‘স্পিরিট অব ক্রিকেট’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন; ঠিক তেমনি মঈন খান, হার্শা ভোগলেদের গুটিকয়েক বিশ্লেষকের সমর্থনও পেয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক।

তবে নিজ দলের পেস বোলিং কোচের কাছ থেকে সমর্থন পেলেন না সাকিব। ম্যাথিউসকে এভাবে ‘টাইমড আউট’ করাটা একেবারেই পছন্দ হয়নি অ্যালান ডোনাল্ডের।

বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার এই ম্যাচে ম্যাথিউস যে হেলমেট নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন সেটা নিয়ে অস্বস্তি বোধ করছিলেন তিনি। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় যে ফিতা দিয়ে হেলমেট আটকে রাখা হয় সেটি কাজ করছিল না। পরের আরেকটি হেলমেট আনা হয়। সেটিও পছন্দ হয়নি এই লঙ্কান ব্যাটারের। এসব করতে করতে নির্ধারিত দুই মিনিট অতিক্রম করে ফেলেন ম্যাথিউস। সুযোগ পেয়ে এক সতীর্থের পরামর্শে আপিল করে বসেন সাকিব। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী ম্যাথিউসকে ‘আউট’ দিতে বাধ্য হন আম্পায়ার। তারপর কিছুক্ষণ যুক্তি তর্কে মাতলেও শেষ পর্যন্ত মাঠ ছাড়েন ম্যাথিউস। পুরো ঘটনাটি একেবারেই পছন্দ হয়নি ডোনাল্ডের।

তিনি বলেন, ‘এটা (টাইমড আউট) দেখতে হতাশাজনক লেগেছে। আমি সাকিব সুযোগ নেওয়াটা বুঝতে পারছি। তার বক্তব্য, “আমি জেতার জন্য সবকিছু করেছি।” আমার গলা শুনেই বুঝতে পারছেন, ব্যাপারটা আমার পছন্দ হয়নি… এমন কিছু আমি পছন্দ করি না। যা ঘটেছে তা দেখাটা সত্যিই খুব কঠিন ছিল… শ্রীলঙ্কার সর্বকালের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় সময়ের কারণে কোনো বল না খেলেই আউট হয়ে মাঠ ছেড়ে চলে গেল। এই খেলার প্রতি ও একে অন্যের প্রতি সম্মান ও মর্যাদার কথা বলা হয়ে থাকে, ক্রিকেটের চেতনার কথা বলা হয়ে থাকে। আমি এমন জিনিস দেখতে চাই না। এটা স্রেফ আমার কথা। আমাদের খেলায় এমন কিছু আমি দেখতে চাই না যেখানে… হ্যাঁ, (ফিল্ডারদের) কেউ একজন চটপটে ছিল এবং (সাকিবকে) বলেছে, “হ্যাঁ, তুমি আপিল করতে পারো।” আমার তখন মনে হয়েছে,”সত্যিই, এটা ঘটতে যাচ্ছে না। এটা হতে পারে না। এটা একদমই হতে পারে না!”‘

এই ঘটনার উত্তাপ ছড়িয়েছে ম্যাচ শেষেও। শ্রীলঙ্কার কোচিং স্টাফের সদস্যরা বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলালেও সেই রীতি অনুসরণ করেননি লঙ্কান ক্রিকেটাররা। সাকিব ও বাংলাদেশ দল তাদের দিকে এগিয়ে গেলেও লঙ্কানরা ম্যাচ শেষে ড্রেসিং রুমে চলে যান। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ দল ও সাকিবকে নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান ম্যাথিউস। ডোনাল্ডের মতে, ‘সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ হতো এটা শুধু বলা, “ঠিক আছে, চিন্তার কিছুই নেই, বন্ধু। তোমার হেলমেটটা তাড়াতাড়ি ঠিক করে নাও। তোমার হাতে সময় আছে এটা বদলানোর। যখন এটা ঘটল, তখন আমার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ছিল এবং সেটা আমার সহজাত প্রবৃত্তির কারণেই, আমি সত্যিই যেন মাঠে ঢুকে গিয়ে বলি, ‘যথেষ্ট হয়েছে, আমরা এটার পক্ষে দাঁড়াব না। আমরা এই ধরনের দল নই যারা এর পক্ষ নেবে।’ এটা ছিল আমার তাৎক্ষনিক ভাবনা।’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.