সংকট কাটাতে ডলারে বন্ড ছাড়ার পরামর্শ

দেশে বর্তমানে চলছে অর্থনৈতিক অস্থিরতা। এমন অস্থিরতার মধ্যে অর্থনীতিবিদ’সহ বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আজ সর্বশেষ সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলো আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

এদিন বৈঠকে, ডলার সংকট কাটাতে ডলারে বন্ড ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছেন সাংবাদিকরা।

আজ সোমবার (৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে বিকেলে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের সিনিয়র সাংবাদিকদের সঙ্গে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে উপস্থিত সাংবাদিকরা বলেন, বর্তমানে দেশে ডলার সংকট চলছে। এমন পরিস্থিতিতে আমরা ডলারে বন্ড ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছি। এটি চালু হলে প্রবাসীরা ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করতে পারবে। এর ফলে ডলার প্রবাহ গতিশীল হবে।

এদিন বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেছেন, রিজার্ভ থেকে আর কোনো ডলার বিক্রি করা হবে না। এতদিন রিজার্ভের ডলার থেকে ব্যাপক সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে। তবে সামনের দিনগুলোতে এরকম সুবিধা আর দিবো না।

তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রির পরিমাণ গিয়ে ঠেকেছে সাড়ে চার বিলিয়ন ডলারে। গত অর্থবছরের একই সময়ে বিক্রির পরিমাণ ছিল পাঁচ বিলিয়ন ডলারের বেশি।

ডলার সংকট নিয়ন্ত্রণ করতে আমদানিতে বেশ কড়াকড়ি আরোপ করেছিলো বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে বিলাসী পণ্য আমদানির পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় রিজার্ভ থেকে ধারাবাহিকভাবে ডলার বিক্রি করে আসছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এক্ষেত্রে সাংবাদিকেরা বিলাসী পণ্য আমদানিতে আরও কঠোর হওয়ার পরামর্শ দেন। তারা বলেন, ডলার সংকট কাটাতে হলে অবশ্যই বিলাসী পণ্যের আমদানিতে আরও কড়াকড়ি আরোপ করতে হবে। তাই আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে এ বিষয়ে বলেছি।

বৈঠকে ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্যাহ মৃধা ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের সিনিয়র সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।

রেফায়েত উল্যাহ মৃধা বলেন, মূলত বৈঠকে মুদ্রানীতি, ডলারের দাম ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের অর্থনীতিকে কিভাবে স্থিতিশীল করা যায় সেটি নিয়েও আমরা আলোচনা করেছি। গভর্নর বলেছেন, খুব দ্রুতই আমাদের অর্থনীতি স্থিতিশীল হবে।

অর্থসূচক/এমএইচ/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.