গাজা এখন উত্তর গাজা ও দক্ষিণ গাজা এই দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী। এ ছাড়া গাজায় টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন। ইসরায়েলের আক্রমণের ফলে এই অবস্থা হয়েছে বলে ফিলিস্তিনি টেলিকম সংস্থা প্যালটেল জানিয়েছে।
ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সের (আইডিএফ) মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি বলেছেন, বেসামরিক মানুষ এখনো দক্ষিণ গাজায় যেতে পারছেন এবং তাদের সেখানেই চলে যাওয়া উচিত।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু আবার জানিয়ে দিয়েছেন, বন্দিদের ফেরত না দিলে যুদ্ধবিরতি হবে না। যতক্ষণ আমরা বিজয়ী না হচ্ছি, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের সামনে লড়াই করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।
সেনার জারি করা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ইসরায়েলের সেনা প্রতিটি বাড়িতে ঢুকছে। কামান ও সাঁজোয়া বুলডোজার সবকিছু গুঁড়িয়ে দিচ্ছে।
গাজার বাসিন্দা আবু হাসেরিয়া জানিয়েছেন, ‘ইসরায়েলের আক্রমণ দেখে মনে হচ্ছে যেন প্রবল ভূমিকম্প হচ্ছে। তারা পুরো এলাকা ধুলোয় মিশিয়ে দিচ্ছে।’
এরই মধ্যে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন প্রথমে ওয়েস্ট ব্যাংক ও পরে ইরাক যান। রোববার সন্ধ্যায় তিনি ইরাকে পৌঁছান। এই সফরের বিষয়ে আগে থেকে জানানো হয়নি। তিনি ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আল-সুদানির সঙ্গে কথা বলেন।
ব্লিংকেন বলেছেন, গাজার সংঘাত যাতে এই এলাকার অন্যত্র ছড়িয়ে না পড়ে সে জন্য আমেরিকা চেষ্টা করছে। গাজায় যে পরিমাণ ত্রাণ পাঠানো হয়েছে, তা চাহিদার তুলনায় খুবই কম। হামাস যাতে বন্দিদের ছেড়ে দেয়, তার উপর আমেরিকা নজর রেখেছে।
ব্লিংকেনের মধ্যপ্রাচ্য সফরের আগে হেজবোল্লাহ জানিয়ে দিয়েছিল, ব্লিকেনের সফরের ফলে সংঘাত আরও তীব্র হবে।
ইসরায়েলের মন্ত্রী ইলিয়াহু বলেছিলেন, ‘গাজায় পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার করা হোক।’ তারপরই প্রধানমন্ত্রীর অফিস জানিয়েছে, ‘ইলিয়াহুকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিবৃতি, বাস্তবসম্মত নয়। আন্তর্জাতিক আইন মেনে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আক্রমণ করছে। নিরাপরাধরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সেটাও তারা দেখছে।’
তুরস্কে ফিলিস্তিনপন্থিরা একটি বিমানঘাঁটিতে ঢোকার চেষ্টা করে। এই বিমানঘাঁটিতে মার্কিন সেনা আছে। তুরস্কের পুলিশের ব্যারিকেড সরিয়ে কয়েকশ বিক্ষোভকারী এগোতে থাকে। তখন বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্য হয়। তাদের উপর জলকামানও ব্যবহার করা হয়। সূত্র: ডিডাব্লিউ, এপি, এএফপি, রয়টার্স
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.