জার্মানির উত্তরাঞ্চলীয় হামবুর্গ শহরের বিমানবন্দরে এক মেয়েকে জিম্মি করার ঘটনায় সেখান থেকে বিমান চলাচল স্থগিত রয়েছে৷ রোববার সকালের সেই ঘটনায় প্রায় তিন হাজার ২০০ যাত্রী ভোগান্তিতে পড়েছেন৷ তাছাড়া ৬০টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে৷
জানা গেছে, অস্ত্রধারী এক ব্যক্তি নিজের গাড়িতে একটি মেয়েকে নিয়ে গেট পার হয়ে বিমানবন্দরে ঢুকে পড়ে৷ ধারণা করা হচ্ছে, নিজের চার বছর বয়সি মেয়েকেই জিম্মি করেছেন অস্ত্রধারী সেই ব্যক্তি৷ এই ঘটনার পর শনিবার রাতেই বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়৷
অস্ত্রধারী ব্যক্তির সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ৷ পরিস্থিতি সামলাতে ব্যাপকসংখ্যক পুলিশ এবং জার্মানির বিশেষ বাহিনী এসডাব্লিওএটি-এর সদস্যদের মোতায়ের করা হয়েছে৷
পুলিশ জানায়, তারা ওই ব্যক্তির সাথে কথা বলে একটি সমাধান বের করার চেষ্টা করছে৷ এটি একটি ভাল দিক যে অস্ত্রধারী ওই ব্যক্তির সাথে লম্বা সময় ধরে আলোচনা চলছে এবং সে আমাদের সাথে কথা বলতে চায়৷
সামাজিকমাধ্যম এক্সে পুলিশ জানায়, অভিযান চলছে৷ গাড়িতে থাকা ব্যক্তির সাথে আমাদের আলোচক দল যোগাযোগ করছে৷ এই অবস্থার প্রেক্ষিতে যাত্রী ও সাধারণ মানুষকে বিমানবন্দর থেকে দূরে থাকতে বলেছে পুলিশ৷
বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা জানান, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত উড়ান বন্ধ থাকবে৷
কর্তৃপক্ষের ধারণা, সন্তান কার কাছে থাকবে সে বিষয়ে বিবাদে লিপ্ত ছিলেন সেই ব্যক্তি৷ রোববার তার স্ত্রী পুলিশকে সম্ভাব্য ‘শিশু অপহরণের’ বিষয়ে অবহিত করেন এবং এর কিছুক্ষণ পরই সে ব্যক্তি গাড়ি নিয়ে বিমানবন্দরে প্রবেশ করেন৷
পুলিশ জানায়, প্রবেশের সময় ওই ব্যক্তি বাতাসে দুই রাউন্ড গুলি এবং এক ধরনের মলটোভা ককটেল নিক্ষেপ করেন৷ এরপর টার্কিশ এয়ারলাইনসের বিমানে পাশে গিয়ে অবস্থান নেন৷
পুলিশের এক কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা ডিপিএকে জানান, অস্ত্রধারী ওই ব্যক্তির সাথে তুর্কি ভাষায় আলোচনা চলছে৷ ৩৫ বছরের ওই ব্যক্তি তুরস্কের নাগরিক বা জার্মানিতে বসবাসরত তুর্কি সম্প্রদায়ের কি না সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি৷
এদিকে, ঘটনার প্রেক্ষিতে টার্কিশ এয়ারলাইন্সসহ বেশ কয়েকটি বিমানের যাত্রীদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে৷ বিমানবন্দরের টার্মিনাল বিল্ডিং থেকেও সবাইকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে৷ সূত্র: ডিডাব্লিউ, এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.