শের-ই-বাংলা শান্তি পুরস্কার পেলো মুহাম্মদ আজিজ খান

ব্যবসা ও সামাজিক কাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ও উল্লেখযোগ্য অধ্যাবসায়ের জন্য সম্মানজনক শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হক শান্তি পুরস্কার ২০২২ এ ভূষিত হয়েছেন মুহাম্মদ আজিজ খান।

শুক্রবার (৩ নভেম্বর) প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে আয়োজিত জাকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ড. মহিউদ্দীন খান আলমগীরের কাছ থেকে মুহাম্মদ আজিজ খানের পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন তাঁর মেয়ে ও সামিট গ্রুপের পরিচালক আজিজা আজিজ খান এসিসিএ।

অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তির পর সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান বলেন, “আমার বেড়ে ওঠার সময়ে শের-ই-বাংলা আমাদের প্রতিবেশি ছিলেন। আমি যখন ছোট ছিলাম তখন শের-ই-বাংলা এবং তাঁর ছেলে মরহুম এ কে ফায়েজুল হক বাবু ভাইয়ের ভালোবাসায় আমি সিক্ত ছিলাম। আমি এখনও তখনকার অসাধারণ স্মৃতিগুলো রোমন্থন করি। তাঁদের বাড়িতে গিয়ে আমি সাইকেল চালানো শিখেছিলাম। বাবু ভাই আমাকে ক্রিকেট খেলা শেখাতেন। আর একবার তো তাঁদের পুকুরে সাঁতার শিখতে গিয়ে আমার প্রায়  মারা যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছিল। সর্বোপরি, আমার মনে পড়ে, শৈশবে আমি প্রথম মৃতদেহ দেখা, আর সেটা ছিল শের-ই-বাংলার। শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হকের ১৫০তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি এই পুরস্কার পেয়ে অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছি।”

শের-ই-বাংলার দৌহিত্র ও শের-শের-ই-বাংলা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ফাইয়াজুল হক রাজু বলেন, “সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে সামিট গ্রুপ বিশেষ করে, প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান স্বনামধন্য বাংলাদেশী ব্যবসায়ী ও জনহিতৈষী ব্যক্তি মুহাম্মদ আজিজ খানের অসামান্য অবদান প্রশংসনীয় এবং সর্বজনস্বীকৃত। সমৃদ্ধিশীল বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও ক্ষমতায়নে সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যানের নিরন্তর অবদানের প্রতি স্বীকৃতি জানাতেই তাঁকে শের-ই-বাংলা পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।”

অনুষ্ঠানে অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রনালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আর. এ. এম. ওবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরী, তথ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মারগুব মোরশেদ, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো: নিজামুল হক নাসিম, শের-ই-বাংলা গবেষণা পরিষদের উপদেষ্টা ইকবাল মাহমুদ প্রমুখ।

 

অর্থসূচক/ এইচএআই

 

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.