যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নাকচ, খালি হাতে ফিরছেন ব্লিঙ্কেন

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ‘অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি’র জন্য দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে ইসরায়েল। গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর জন্য অস্থায়ী এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছিলেন ইসরাইল সফররত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

ব্লিঙ্কেনের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাসের হাতে আটক ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত তারা কোনো যুদ্ধবিরতিতে যাবে না। নিয়ে শুক্রবার ইসরাইলে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

খবর বিবিসি ও জেরুজালেম টাইমসের।

গাজা ইসরায়েলের বর্বর হামলায় বিপুল প্রাণহানী এবং ইসরায়েলকে অন্ধ সমর্থন যুগিয়ে যাওয়ার কারণে বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নিন্দা শুরু হয়েছে। এমনকি দেশটির ভেতরেও এর প্রতিবাদ করছেন তার নাগরিকরা। তারা অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়েছেন। এমন অবস্থায় কিছুটা মুখরক্ষার প্রয়োজনে শুক্রবার অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে ইসরায়েল পৌঁছান অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

তেল আবিবে পৌঁছে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করেন ব্লিঙ্কেন। বৈঠক শেষে নেতানিয়াহু একটি বিবৃতি প্রকাশ করেন। এতে তিনি জানান, হামাস যতক্ষণ পর্যন্ত সব জিম্মিকে ছেড়ে না দেবে ততক্ষণ তাদের সঙ্গে ইসরাইল কোনো যুদ্ধবিরতি করবে না। এছাড়া গাজায় তারা কোনো জ্বালানি প্রবেশ করতে দেবেন না বলেও জানিয়েছেন নেতানিয়াহু।

তিনি বলেছেন, যেটিতে আমাদের সব জিম্মিকে ছাড়ানোর শর্ত নেই সেই যুদ্ধবিরতির বিরোধীতা করে ইসরাইল। গাজায় ইসরাইল কোনো জ্বালানি প্রবেশ করতে দিচ্ছে না এবং সেখানে যে কোনো ধরনের ফান্ডের বিরোধীতা করি আমরা।

গত ৭ অক্টোবর অবৈধ বসতিগুলোতে হামলা চালিয়ে প্রায় ২৫০ ইসরাইলিকে ধরে নিয়ে আসে হামাস।

৭ অক্টোবরের হামলার প্রতিশোধ নিতে হামাসকে পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার হুমকি দেয় ইসরাইল। এর অংশ হিসেবে গাজায় নির্বিচারে বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। এছাড়া গত ২৮ অক্টোবর থেকে স্থল হামলাও শুরু করে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। ইতোমধ্যে ইসরাইলের হামলায় গাজায় ৯ হাজারের বেশি সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে, যার বড় অংশই হচ্ছে নারী ও শিশু। জাতিসংঘের মানবিধার সংস্থা এটিকে গণহত্যার সামিল বলে ঘোষণা দিয়েছে।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.