মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে রাজধানীর মিরপুরে আন্দোলনরত পোশাকশ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। পরে পোশাকশ্রমিকরা সড়ক ছেড়ে দেয়।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) দুপুরের দিকে পূরবী সিনেমা হলের সামনে তাদের মধ্যে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রথমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে শ্রমিকদের সড়কে অবস্থান না করে সড়ক ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। কিন্তু সড়কে অবস্থান করে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। পুলিশের সঙ্গে বিজিবির একটি দলও ছিল। তবে বিজিবি দল টিয়ারশেল বা সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়েনি।
পুলিশ বলছে, দফায় দফায় পোশাকশ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদের বেতন বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। সড়ক অবরোধ করে অরাজক পরিস্থিতি যেন না ঘটে, সে জন্য সড়ক ছেড়ে যাওয়ার অনুরোধ জানানো হয়। কিন্তু অনুরোধ না শুনে শ্রমিকরা সড়কে অবস্থান নেন। এতে সকাল থেকে মিরপুর ১১ নম্বর ও ১ নম্বর এলাকার বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
পোশাকশ্রমিকরা বলেন, বেতন বাড়ানো ও আমাদের ওপর হামলাকারী আওয়ামী লীগ-যুবলীগ কর্মীদের গ্রেপ্তার দাবিতে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে অবরোধ করছিলাম। কিন্তু পুলিশ এসে আমাদের ওপর হামলা করে আমাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মহসিন ঘটনাস্থলে গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাজ করছে। শ্রমিকদের বিভিন্নভাবে বোঝানো হয়েছে কিন্তু তারা সরে যায়নি।
এর আগে গতকাল বুধবার (১ নভেম্বর) সকালে একই দাবিতে আন্দোলন করছেন পোশাকশ্রমিকরা। এ সময় কয়েকটি পোশাক কারখানার ফটক ভাঙচুর করেন শ্রমিকরা। এতে মিরপুর ১০ নম্বর থেকে ১৪ নম্বর পর্যন্ত সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.