যুদ্ধের আগুন ছড়িয়ে পড়লে দায় আমেরিকা-ইসরাইলের: ইরান

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বিরুদ্ধে ইসরাইলি যুদ্ধাপরাধ বন্ধ করতে ‘অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা’ গ্রহণ করার জন্য মুসলিম দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইরান। একইসঙ্গে এই অবরুদ্ধ ও যুদ্ধবিধ্বস্ত ছোট উপত্যকায় মানবিক ত্রাণ পাঠানোরও আহ্বান জানিয়েছে তেহরান।

আঙ্কারা সফররত ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগানের সঙ্গে এক সাক্ষাতে এ আহ্বান জানান। তিনি গাজাবাসীর প্রতি সমর্থন জানানোর পাশাপাশি তুরস্কব্যাপী ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিশাল বিশাল বিক্ষোভ আয়োজনের জন্য প্রেসিডেন্ট এরদোগানের প্রশংসা করেন।

কাতার সফর শেষ করে তুরস্ক সফরে যাওয়া ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাজা পরিস্থিতি নিয়ে মুসলিম দেশগুলোর একটি শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করারও আহ্বান জানান। নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের আগুন যেকোনো মুহূর্তে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে হুঁশিয়ারি দেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, সেরকম কিছু ঘটলে তার পুরো দায় আমেরিকা ও ইসরাইলকে নিতে হবে।

আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ শক্তিগুলো তেহরানকে একথা জানিয়েছে যে, ইসরাইলের বিরুদ্ধে দীর্ঘকাল ধরে যুদ্ধ করার সামরিক সক্ষমতা তাদের রয়েছে।

অন্যান্য দেশকে গাজা পরিস্থিতির ব্যাপারে নীরব থাকার যে আহ্বান ওয়াশিংটন জানিয়েছে তার তীব্র সমালোচনা করে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যে আমেরিকা ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে গণহত্যা পরিচালনার জন্য তেল আবিবকে সর্বাত্মক পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে তার পক্ষে এ ধরনের আহ্বান জানানোর কোনো অধিকার নেই। গাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে আমেরিকা। কাজেই অপর পক্ষগুলোকে ধৈর্য ধরতে বলার জায়গায় আমেরিকা নেই।

সাক্ষাতে তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সকল পক্ষকে কাজ করতে হবে। গাজার ওপর হামলা বন্ধ, এই উপত্যকার ওপর থেকে অবরোধ প্রত্যাহার এবং সেখানে মানবিক ত্রাণ পাঠানোর লক্ষ্যে আঙ্কারা কাজ করছে বলে তিনি দাবি করেন।

গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকার ওপর ইসরাইলি পাশবিক বোমাবর্ষণে ৩,৬০০ জনের বেশি শিশুসহ অন্তত ৮,৮০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ইহুদিবাদী সেনারা বর্তমানে গাজায় স্থল অভিযান চালাচ্ছে। ওই অভিযানে তারা ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের প্রচণ্ড প্রতিরোধের সম্মুখীন হচ্ছে। মঙ্গলবার একদিনেই অন্তত ১৬ ইসরাইলি সৈন্য নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করেছে তেল আবিব। গতকাল (বুধবার) ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা বহু ইসরাইলি ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান ধ্বংস করার কথা ঘোষণা করেছে। তবে ইসরাইল এখনও বুধবারের ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ প্রকাশ করেনি। পার্সটুডে

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.