‘মালিক নামধারীরা ব্যাংক খালি করে দিয়েছে’

কতিপয় মালিক নামধারী লোক ব্যাংকগুলো খালি করে দিয়েছেন। বাংলাদেশ ঋণের জালে পড়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক।

বুধবার (১ নভেম্বর) জাতীয় সংসদে নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বিল পাসের আলোচনায় অংশ নিয়ে মুজিবুল হক এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, এমন হয়েছে যে ব্যাংকের মালিক ৪০০ কোটি টাকা নিয়েছেন, কিন্তু তাঁর সুদ মাফ হয়ে গেছে। অথচ ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিলে কৃষকের সুদ মাফ হয় না। এটা খুবই দুঃখজনক। এসব অনিয়ম অর্থমন্ত্রী দূর করতে পারেননি।

মুজিবুল হক বলেন, সাউথ বাংলা ব্যাংকের চেয়ারম্যান ঋণের এক হাজার কোটি টাকা মেরে বিদেশে চলে গেছেন। জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছেন, এটার কোনো বাছবিচার নেই। তাঁরা টাকা মেরে চলে গেছেন, সেগুলো দেশে নেই। তাঁরা ডলার কিনে বিদেশে পাচার করেছেন। এ জন্য রাষ্ট্র ডলারের সংকটে পড়েছে।

তিনি বলেন, ‘অনেকেই মনে করেন ব্যাংক থেকে ঋণ নিলে টাকাটা ফেরত দেওয়া লাগবে না। না দিলেও সমস্যা হয় না। অর্থমন্ত্রী পাঁচটা বছর কী করেছেন, জানি না। এত করে বললাম, তদন্ত করেন, প্রয়োজনে সংসদীয় কমিটি করেন, কিন্তু তিনি কানেই নিলেন না।’

সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের অনুপস্থিতির সমালোচনা করে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, অর্থমন্ত্রী উজিরে খামোখা হয়ে গেছেন। এটা দেশের জন্য দুর্ভাগ্যজনক। কোনো কাজে ওনাকে (অর্থমন্ত্রী) পাওয়া যায় না। অর্থনৈতিক সংকট চলছে, প্রচুর আলোচনা হচ্ছে, ওনাকে দেখা যাচ্ছে না। উনি উজিরে খামাখা হয়ে গেছেন। স্বেচ্ছায় উজিরে খামাখা হয়ে গেছেন, দপ্তরবিহীন মন্ত্রীর মতো আছেন। এটা দেশের জন্য দুর্ভাগ্যজনক।

আজ বিলটি তোলার কথা অর্থমন্ত্রীর। তাঁর অনুপস্থিতিতে বিলটি সংসদে তোলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। চলতি অধিবেশনে অর্থমন্ত্রীর পক্ষে বেশ কয়েকটি বিল তুলেছেন আইনমন্ত্রী।

শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, রাজনৈতিক সংকট আওয়ামী লীগ ভালোমতো মোকাবিলা করেছে। এখনো হয়তো পারবে। কিন্তু অর্থনীতি সরকারের একার বিষয় নয়। এটি বৈশ্বিক বিষয়।

অর্থসূচক/এমএইচ

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.