জাতীয় কার্ড স্কিম ‘টাকা পে’র উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করতে ভিসা ও মাস্টারকার্ডের মতো ‘টাকা পে’ নামে দেশে এই প্রথম নিজস্ব কার্ড চালু হলো।
বুধবার (১ নভেম্বর) সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এটি উদ্বোধন করেন তিনি। কার্ডটি ইস্যু করবে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক এবং বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ব্র্যাক। প্রাথমিকভাবে এসব ব্যাংক পাইলটভিত্তিতে ‘টাকা পে’ ইস্যু করবে। প্যারিসভিত্তিক কনসালটেন্সি প্রতিষ্ঠান ‘ফাইম’ কার্ডটি তৈরি করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে এটি দেশের ভেতরে ব্যবহার করা যাবে। তবে অচিরেই এই কার্ডের ব্যবহার ভারতেও সম্প্রসারিত হবে।
এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা যেন সচল থাকে, এ কারণে এই ব্যবস্থাপনা (ন্যাশনাল স্কিম টাকা-পে)। শুধু বাংলাদেশ নয়, আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গেও লেনদেন যাতে নিজস্ব অর্থে করতে পারি, সেই পদক্ষেপ আমরা নিচ্ছি। আলোচনা চলছে, কিছু ক্ষেত্রে অগ্রগতিও হয়েছে।’
গত ১৮ জুন বাংলাদেশ ব্যাংকের সভাকক্ষে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার জানিয়েছিলেন, চিকিৎসা, ভ্রমণসহ বিভিন্ন কাজে প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে অনেকে ভারতে যান। এ জন্য মার্কিন ডলার কিনে ভারতে গিয়ে রুপিতে রূপান্তর করতে হয়। এতে ভ্রমণকারীকে প্রায়ই বিনিময় হারজনিত লোকসানে পড়তে হয়। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে ‘টাকা পে’ নামে ডেবিট কার্ড আনছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে মানুষ টাকা বা রুপি তুলতে পারবে। এটি ভারতে ভ্রমণকারী বাংলাদেশিরা অর্থপ্রদানের জন্য ব্যবহার করতে পারেন।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.